খবর ৭১: নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া ঝালকাঠির নলছিটির শিশু আশিকুর রহমান রিফাত (১১) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (বিশেষ ট্রাইবুনাল-২) বিচারক মোহাম্মদ রবিউল আউয়াল এ দণ্ডাদেশ দেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মহিউদ্দিন হাসনাত ও সাইফুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় সাইফুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মহিউদ্দিন হাসনাত পলাতক রয়েছেন।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি ফজলুল রহমান বলেন, ‘আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় দিয়েছেন।’
নিহত শিশু রিফাতের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে এরা হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পরে হলেও ফাঁসির এই রায়ে আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট।’ এ সময় রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তোফাজ্জেল হোসেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নবী হোসেন জানান, এই মামলায় রায় যথার্থ হয়েছে। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি করে তারা।
২০১২ সালের ১০ আগস্টে আপন বোনের স্বামী (দুলাভাই) ও তার ভাড়াটে দুই খুনি গলা কেটে হত্যা করে শিশু রিফাতকে।
নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নলছিটির ব্যবসায়ী তোফাজ্জেল হোসেন পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুর-২ নম্বরের মনিপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। তাদের সঙ্গে মেয়ে ও মেয়ের জামাতাও থাকতেন। তোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সঙ্গে সামান্য কথা কাটাকাটি হয় জামাতা মহিউদ্দিন হাসানাতের। এতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের ওপর ক্ষিপ্ত হন জামাতা হাসানাত।
এরই জের ধরে ২০১২ সালের ১০ আগস্ট বাসার পাশের গলিতে বিকাল ৩টার দিকে খেলার সময় রিফাতকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মাইক্রোবাসে ওঠায় হাসনাত। দুলাভাই হাসনাত এবং ৩০ হাজার টাকায় ভাড়া করা দুই খুনি সাইফুল ইসলাম ও মিঠু শিশু রিফাতকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার নাভানা ভূঁইয়া সিটিতে নিয়ে যায়। নির্জন ওই স্থানে রাতে রিফাতের হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তারা। রাতেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রিফাতের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।
খবর ৭১/ই: