আমাদের মাদকমুুুক্ত জীবন গড়ে তুুলতে হবে—-মেয়র লিটন

0
364

জাহিরুল ইসলাম মিলন।।জেলা প্রতিনিধিঃ
চল যাই যুদ্ধে” মাদকের বিরুদ্ধে” এ স্লোগানে বাংলাাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুল মাবুদ (পিপিএম) বলেন, পাকিস্তানী দখলদার হানাদার বাহিনীর নিকট থেকে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে মুক্ত করার জন্য এদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ একত্রিত হয়ে স্বাধীন করেছে। আমি সেই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করি, শ্রদ্ধা করি জাতিয় চার নেতাকে। বঙ্গবন্ধু যদি সেদিন এদেশকে মুক্ত করার জন্য ভুমিকা না রাখত তাহলে আমাদের আজ পরাভুত জাতি হিসাবে বসবাস করতে হত। আমি তাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবার স্বপরিবারে নিহত হয়েছিল তাদের এবং ১৯৫২ সালের সকল মাতৃভাষা আন্দোলন কারিদের শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি। কথাগুলো বললেন মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী নির্মুল সমাবেশে প্রধান অথিথি হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি সাবেক ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্টের ডিজি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ ( পিপিএম)।
রোববার বেলা ১১ টার সময় মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুল জনসমাবেশে শার্শা থানা পুলিশ আয়োজিত থানা অডিটরিয়মে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ বলেন বেনাপোলের মেয়র আশরাফুল আলম লিটন সারা বাংলাদেশের মেয়রদের ভিতর অন অব টা বেষ্ট মেয়র। আজ আমরা এ ধরনের জনপ্রতিনিধির সহযোগিতা নিয়ে পুলিশের মাদক অভিযান সফল করব। এবং দেশকে মাদক মুক্ত করে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের বলেন আপনাদের যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। দেশকে মাদকমুক্ত করে যুদ্দ শেষ করতে হবে। পিতা মাতা শিক্ষক জনপ্রতিনিধিদের বলেন মাদক মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হলে সবাইকে অভিভাবক হিসাবে কাজ করতে হবে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান (বিপিএম,পিপিএম) যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন,সাবেক শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফার হোসেন, সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নাভারন সার্কেল জামাল আল নাসের, নিজামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলিম রেজা বাপ্পী, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, পুটখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার সরদার, লক্ষনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।
যশোর জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করতে হলে আর একটি যুদ্ধ করতে হবে সেটা হলো মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তিনি বলেন আমি যশোর পুলিশ সুপার হিসাবে প্রধান মন্ত্রীর মাদক মুক্ত দেশ গড়ার জন্য যশোরকে প্রথম মাদক মুক্ত জেলা হিসাবে ঘোষনা করতে চাই।
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, মাদক একটি সামাজিক ব্যাধি। এই সামাজিক ব্যাধি রাষ্ট্রের একটি ব্যাধি। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বর সোনার বাংলার মানুষ। আমরা সেই দেশের মানুষ যারা মুক্তিযুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে এদেশকে মুক্ত করেছে। তাই আমরা মাদকের কাছে পরাভুত হতে পারি না। যারা মুক্তিযুদ্ধ করে এদেশকে মুক্ত করেছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি বলেন আমি সরকারি পুলিশ বিজিবি বাহিনীর পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করি এবং স্লোগান দেই মাদক একেবারে নয় খেলা ধুলায় মিলবে জয়। কারন মাদক যারা ব্যবসা করে আমি মনে করি এটা কোন ব্যবসা নয় এটা একটি অভিশাপ। যেখানে মাদক মানুষের জীবন থেকে জীবনকে কেড়ে নেয় , মানুষের জীবন থেকে সৌন্দর্যকে কেড়ে নেয়, যেটা মানুষের জীবন থেকে গতীকে কেড়ে নেয়, মানুষের জীবনের ভালো মন্দ পার্থক্য নির্নয় করার শক্তিকে কেড়ে নেয়,মানুষকে আলো অন্ধকার পার্থক্য করাকে কেড়ে নেয়,যেটা মানুষকে ক্ষত বিক্ষত করে, পরিবারে কোন আনন্দ থাকে না তার নাম মাদক। সন্তান যার নেই সেই বোঝে সন্তানের আকুতি। আর যার সন্তান আছে সেই সন্তান যদি মাদক সেবী হয় তাহলে এরকম যন্ত্রনা আর নেই। আমরা যদি যার যার সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে পথ চলা শুরু করতে পারি তাহলে মাদক মুক্ত হবে একদিনে। শিক্ষকদের উদ্ধেশ্য বলেন ৪৫ মিনিটের ক্লাসে আপনারা ৫ মিনিট করে মাদকের কুফল সম্পর্কে ধারনা দেন দেখেন কোন শিশু কোন কিশোর মাদকে আকৃষ্ট হবে না। তাহলে ঐ শিশু কিশোর তরুন যুবক দেশ কেউ পরাভুত হবে না মাদকের কাছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অসম্প্রদায়িক চেতনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের আহবান করেন তখন সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালী আবাল বৃদ্ধ মুসলিম হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান একত্রিত হলো এবং রনাঙ্গানে জীবন দিতে ঝাপিয়ে পড়ল এবং জীবনকে উৎসর্গ করে একটি লাল সবুজের পতাকা দিয়ে গেল তাদের ও স্বপ্ন ছিল এদেশের মানুষ মাথা উচু করে দাড়াবে,আজ দাড়িয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here