খবর৭১: সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে লন্ডন পাঠাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
রোববার রাজধানীতে রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে বাংলাদেশ জনদল (বিজেডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ আহ্বান জানান তিনি।
দেশের খ্যাতনামা এ চিকিৎসক বলেন, আজ (রোববার) পত্রিকায় দেখলাম, খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, তিনি (খালেদা) সাত মিনিট অজ্ঞান ছিলেন। এ কথা সঠিক হয়ে থাকলে তার নিশ্চয়ই টিআইএ হয়েছিল। অর্থাৎ তার সাময়িকভাবে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে গিয়েছিল। এ ধরনের রোগীর ভবিষ্যতে ব্রেন স্ট্রোক বা প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সেহেতু এই পর্যায়ে সর্বোত্তম নিউরোলজিক্যাল সেন্টারে তার চিকিৎসা হওয়া উচিত।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, যেহেতু খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, সুতরাং অন্য বিবেচনা বাদ দিয়ে শুধু রাজনৈতিক ও সামাজিক বিবেচনায় তার সঠিক চিকিৎসা হওয়া উচিত।
রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী বলেন, প্রয়োজন হলে সর্বোত্তম চিকিৎসার জন্য তাকে (খালেদা জিয়া) এ ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য শ্রেষ্ঠতম নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো উচিত। এ হিসেবে লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি কুইন্স স্কয়ার অথবা লন্ডনের হ্যামার স্মিথ হাসপাতালের (সাবেক রয়্যাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল স্কুল) মতো নিরাময় কেন্দ্রে তার চিকিৎসা হওয়া উচিত।
বি. চৌধুরী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি আমার সঙ্গে এত খারাপ ব্যবহার করার পরও আমি খালেদা জিয়ার পক্ষে কেন কথা বলি? স্মরণ রাখা উচিত, আমি আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর একরাম হত্যার তীব্র প্রতিবাদ করেছি। যেখানেই গণতন্ত্রের ওপর আঘাত আসবে, যেখানে মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ হবে, সেখানে সরকার বা বিরোধী দল বুঝি না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলতেই থাকব-এটা বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নীতি।’
তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন এখন জনগণের মৌলিক দাবি। এর জন্য নির্বাচনের অন্তত ১০০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। যাতে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা সব দলের সর্বসম্মতিক্রমে স্বীকৃত জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিকল্পধারার সভাপতি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) চান বা না-ই চান, দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার আদায় করেই ছাড়বে এবং এর জন্য জনবিস্ফোরণ হলে এই সরকারই দায়ী থাকবে।
তিনি বলেন,আমরা চাই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান। যেমন হয়েছে মালয়েশিয়ায়, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে মাহাথির মোহাম্মদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের একজন কর্মীকেও জেলে রাখা হয়নি অথবা ভোটের পর একজন কর্মীকেও নির্যাতন করা হয়নি।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দলমত নির্বিশেষে এই অবৈধ সরকারকে হটিয়ে জনগণের শাসন কায়েম করার জন্য আমাদের লড়াই করতে হবে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিজেডির চেয়ারম্যান এস এম শাজাহানের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ, বিজেডি নেতা হারুন অর রশিদ, আবুল হাসেম সরকার, আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
খবর৭১/এস: