খবর৭১: সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে চার জেলায় আরো চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় ডাকাত দলের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে মো. সুমন (৩৫) নামে এক আন্তঃজেলা ডাকাত নিহত হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল ও রংপুর শহরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। আর দিনাজপুর সদর উপজেলায় অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তিও মাদক বিক্রেতা ছিলেন। এ নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে ১৪৯ জন নিহত হলেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় জেলার দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের ছেচরাপুকুরিয়া রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ওসি মো: মিজানুর রহমান জানান, ডাকাত সুমনের বিরুদ্ধে দেবিদ্বার, চান্দিনা, দাউদকান্দিসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও অন্যান্য অভিযোগে অন্তত ১৫টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, দেবিদ্বার-চান্দিনা সড়কের ছেচরাপুকুরিয়া এলাকার রাস্তার মাথায় ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে। এ সময় সশস্ত্র ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষায় ১৯ রাউন্ড শটগানের গুলি চালায়।
পরে সেখান থেকে আহত ডাকাত সদস্য সুমনকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই অভিযানে দেবিদ্বার থানার এসআই আসাদ, এএসআই ইনতাজ ও কনস্টেবল মনির আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ রাউন্ড কার্তুজসহ একটি পাইপগান,কয়েকটি মুখোঁশ, ছোরা ও শাবল উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শামীম হোসেন (৪২) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শামীম হোসেন রানীশংকলৈ উপজেলার নেকমরদ বাজার এলাকার মৃত আবদুল সাত্তারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, নেকমরদ এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় শামীমসহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির সময় শামীম হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।
এছাড়া দিনাজপুর সদর উপজেলার খাড়িপাড়া থেকে আবদুর রাজ্জাক (৩৫) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উথরাইল ইউনিয়নের খাড়িপাড়ায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। নিহত আবদুর রাজ্জাক দিনাজপুর সদর উপজেলার দাইনুর কনজকুড়ী গ্রামের মৃত কমির উদ্দিনের ছেলে। পুলিশের দাবি, রাজ্জাক মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন।
এদিকে রংপুর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কুকরুল আমেরতল তিন রাস্তার মোড়ে ‘বন্দকযুদ্ধে’ আবু মুসা বিষকালাই (২৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত মুসা ওই ওয়ার্ডের হনুমানতলা বস্তির আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। তার নামে কোতোয়ালি থানায় মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ১১টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রংপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, কুকরুল আমেরতল এলাকায় মাদক কেনাবেচার খবরে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করলে পুলিশও পাল্টা গুলি বরে। এতে ঘটনাস্থলেই মুসা মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পিস্তল, তিনটি গুলির খোসা, ১৭৩টি ইয়াবা ও ৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ।