হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক, সুনামগঞ্জ:
প্রায় দশদিন পর পূর্ণ রোদের দেখা পেল হাওরবাসী! মৃত্যুঝুকি নিয়ে ধান কাটা শেষ করলেও রোদের অভাবে শোকাতে পারছিলনা সেই ধান। ফলে গেড়া (অঙ্কুর) এসে ধানের ক্ষতি করেছে। শনিবার ভরদিন তপ্ত রোদেও ক্লান্তি হীন কাজ করেছেন কৃষক। খলায় ফেলে রাখা সব ভেজা ধান শুকিয়ে গোলায় তোলতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের চোখে মুখে তৃপ্তির ঝিলিক লক্ষ করা গেছে।বিভিন্ন হাওর ঘুরে দেখা গেছে, হাওরের ধানকাট প্রায়শেষ। কৃষি বিভাগের গত ৭ মে এর প্রতিবেদনে চারটি উপজেলায় শতভাগ ধান কাট হয়ে গিয়েছিল। তবে গতকাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন শতভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।কৃষকরা জানান, প্রায় দশদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে কিছুক্ষণ বৃষ্টিহীন থাকলেও আকাশ কালো করে ঝড়-তুফান হয়েছে। প্রকৃতির রুদ্রলীলার মধ্যেই কৃষক বজ্রপাতের মৃত্যুঝুকি নিয়ে এবার সব ধান কাটতে সক্ষম হয়েছে। খলায়, রাস্তার ধারে, বসতবাড়ির আঙিনায়, মাঠে কাটা ধান ফেলে রাখলেও শুকানোর সুযোগ ছিল না। তাই ধানগুলো জড়ো করে রাখা হয়েছিল। রোদের অভাবে শুকাতে না পারায় সেই ধানে লম্বা অঙ্কুর গজিয়ে ধানের গুণাগুণ নষ্ট করেছে। অবশেষে শনিবার পুরো দিন উজ্জ্বল রোদে ধান শুকিয়ে গোলায় তুলেছেন কৃষক।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার সাহা বলেন, হাওরের সব ধান কাটা হয়ে গেছে। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। সব ফসল কাটতে পেরে কৃষকরাও খুশি। বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে না পারলেও আজকের রোদের অবশিষ্ট সব ধান শুকাতে পারবেন কৃষক।
খবর ৭১/ এস: