চাঁদার দাবীতে বসত বাড়ীতে হামলা, নারী সদস্যদের মারপিট

0
321

খবর৭১:মাদারীপুর প্রতিনিধি:চাঁদার দাবীতে বসত বাড়ীতে হামলা, বাড়ীর নারী সদস্যদের মারপিট করেছে এলাকার প্রভাবশালী আতিয়ার খানের সন্তাসী বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটি গ্রামে। বসত বাড়ীতে হামলা ও নারীদের মারপিটের ঘটনায় মামলার ৮ দিন পার হলেও আসামীরা এখনও গ্রেফতার হয় নি। ফলে আসামীদের হুমকি ও মারপিটের ভয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা আতঙ্কে এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। গত ৬ মে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৪/২৯৫।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীনি মোসাঃ রহিমা বেগম বেবী, তার স্বামী ও বোনদের নিয়ে বেড়ানোর জন্য বাবার বাড়ী ঝিকরহাটি গ্রামে যায়। তারা সবাই সেখানে ঐ দিন রাত্রিযাপন করেন। সকালে হঠাৎ ঘরের পশ্চিম পার্শের বেড়া ভাংচুরের শব্দ এবং চিৎকার ও সোরগোলের শব্দ শুনে বাহিরে এলে আসামী মতিয়ার রহমান খান বাদীনি মোসাঃ রহিমা বেগম বেবী এবং তার বোনদের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে বাদীনি মোসাঃ রহিমা বেগম বেবীকে হত্যার উদ্যেশে আসামী আতিয়ার রহমান খান ধাঁরালো রাম দা দিয়ে কোঁপ দেয়। ধাঁরালো রাম দায়ের কোঁপে সে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় অন্যান্য আসামীরা তার পরনের ব্লাউজ ও শাড়ি টেনে হিছড়ে খুলে ফেলেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার বাদীনি মোসাঃ রহিমা বেগম বেবী সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরেই মতিয়ার রহমান খান ও আতিয়ার রহমান খান সহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের খুন করার হুমকিসহ ক্ষতি সাধন করে থাকে। আমার বাবা-মা জীবিত না থাকায় বসত বাড়ী খালি থাকে। মাঝে মধ্যে বেড়াতে আসলেই মতিয়ার রহমান খান ও আতিয়ার রহমান খান আমার এবং আমার বোনদের নিকট থেকে চাঁদা দাবী করেন। তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না দিলেই আমাদের মারপিট এমনকি বসত বাড়ী ভেঙ্গে জমি দখলের হুমকি দেয়।
তিনি আরও জানান, মামলার ৮ দিন অতি বাহিত হলেও আসামী মতিয়ার রহমান খান ও আতিয়ার রহমান খান কে পুলিশ গ্রেফতার করছে না। আসামীরা মামলা তুলে নিতে বার বার হুমকি দিচ্ছে। ফলে আমি ও আমার বোনরা চরম নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্কে রয়েছি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here