খবর ৭১ঃ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন আজ শুক্রবার। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন থেকে সরে এসে এবার আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে কমিটি হতে পারে। তবে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শে সমঝোতার ভিত্তিতেই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সংক্ষিপ্ত অধিবেশনের পর নতুন কমিটির ঘোষণা আসবে। আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল তিনটায় প্রথমে জাতীয় ও পরে দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর শোক প্রস্তাব, সাংগঠনিক রিপোর্ট, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনামূলক বক্তৃতার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। দেশের বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেবেন।
সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রঙবেরঙের ব্যনার-ফেস্টুন ও আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয়েছে। এ বছর কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা নির্বাচনে ভোট পর্ব না থাকলে প্রথম অধিবেশন শেষে সম্মেলনে দ্বিতীয় দিন কেবল আনুষ্ঠানিকতা থাকবে। তবে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট
কোনো ঘোষণা না আসায় তার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর এ তালিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। পারিবারিক রাজনৈতিক অবস্থা, দলীয় আনুগত্যর বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রার্থীদের ব্যাপারে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্যগুলোও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এবার কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম একসঙ্গে ঘোষণা হবে।
সম্মেলনের প্রস্তুতির বিষয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, এবারের সম্মেলন ইতিহাসের সেরা সম্মেলন হবে। আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন। সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খবর ৭১/ইঃ