এম এম আতাউর রহমান (জীবন)
জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাট শহরের বিহারিপাড়া মহল্লার ভাড়াটিয়া ফজলে রাব্বী (১৮) নামের এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে প্রতিবেশি রেজা নামের এক যুবক তাকে পিটিয়ে আহত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জয়পুরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) মমিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নিহত ফজলে রাব্বীর বাবা সেলিম রেজার বাড়ি আক্কেলপুরের রোয়াইর গ্রামে। চাকরি করেন মালয়েশিয়ায়। পড়ালেখার জন্য জয়পুরহাট শহরের বিহারিপাড়া মহল্লায় পাঁচ বছর আগে স্ত্রী ও ছেলের জন্য বাসা ভাড়া নেন। ফজলে রাব্বী এবার জয়পুরহাট শহরের শহীদ জিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার তার শেষ পরীক্ষা ছিল। সখ করে বাবা সেলিম রেজা ছেলেকে সুজুকি জিক্সার মোটরসাইকেল কিনে দেন। সেই মোটরসাইকেলে চোখ পড়ে প্রতিবেশি সওদাগর পাড়া মহল্লার গিয়াস উদ্দিনের সন্ত্রাসী ছেলে রেজার। রেজা মাঝে মধ্যে টাকা ধার চায় ফজলে রাব্বীর কাছে। কিছুদিন পূর্বে মোটরসাইকেলও চায়। ফজলে রাব্বী তা দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষুব্ধ হয় রেজা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক পথে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফজলে রাব্বী।
এ সময় গতিরোধ করে রেজা তার কাছে আবারও মোটরসাইকেল চায়। কিন্তু রাব্বী তা প্রত্যাখ্যান করলে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে নিজের ওষুধের দোকান থেকে হকিস্টিক দিয়ে জোরে মাথায় আঘাত করে রেজা। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রাব্বী। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার ডা. আবু মনছুর মো. আব্দুল্লাহ জানান, ‘ফজলে রাব্বীকে হাসপাতালে নেয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন।
জয়পুরহাট সদর থানার ওসি (তদন্ত) মমিনুল হক জানান, ‘কলেজ ছাত্র ফজলে রাব্বীর মোটরসাইকেল না পেয়ে প্রতিবেশি রেজা তাকে হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। এতে ফজলে রাব্বীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে’।
খবর৭১/জি: