যে গ্রামে ৪০০ বছরে কোনো সন্তান জন্ম হয়নি

0
578

খবর৭১: সর্বশেষ গ্রামটিতে ৪০০ বছর আগে একটি সন্তান জন্ম দিয়েছিল এক নারী। এরপর এই দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও আর কোনো নারী গর্ভধারণের ঝুঁকি নেননি। স্থানীয়রা ‘অভিশপ্ত গ্রাম’ বলে আখ্যায়িত করে একে।

ভারতের মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত গ্রামটি। সেখানকার লোকজন জানান, যখনই কোনো নারী এখানে সন্তান জন্ম দিতে যান, হয় তার সন্তান বা তিনি কিংবা উভয়েই মারা যান, অথবা শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে যান।

কোনো লিখিত আইন না থাকলেও রাজগড়ের শঙ্ক শ্যাম জি নামের এই গ্রামে নারীদের সন্তান জন্ম দেয়ার অনুমোদন নেই। স্থানীয়দের বিশ্বাস, প্রাদেশিক রাজধানী ভূপাল থেকে ১৩০ কিলোমিটারের দূরের এই গ্রামের কোনো নারীর সন্তান জন্ম দিতে হলে অবশ্য গ্রামের সীমা পাড়ি দিতে হবে। নিজের ও সন্তানের ভালো চাইলে তা-ই করতে হয় এখানে।

গ্রাম্য নেতা নরেন্দ্র গুরজার জানান, সেখানকার ৯০ শতাংশ সন্তানের জন্মই হয় গ্রামের বাইরে হাসপাতালে। আর জরুরি মুহূর্তে গ্রামের বাইরের একটি বাড়িতে গিয়ে কাজটি করতে হয়। বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে এই উদ্দেশ্যেই।

তার বিশ্বাস, একটি মন্দির নির্মাণের কাজে এক নারী বাধা দেয়ার পর থেকেই এই ‘অভিশাপ’ নেমে আসে গ্রামে।

গ্রামটির বয়োঃজেষ্ঠ্যরা দাবি করেন, ষোল শতকে যখন মন্দিরটি নির্মাণ করা হচ্ছিল, তখন গম থেকে আটা তৈরির কাজ শুরু করেন এক নারী। এতে নির্মাণ কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে ‘ঈশ্বর’ ক্ষুব্ধ হয়ে গ্রামটির ওপর অভিশাপ দেন যাতে কোনো নারী এই গ্রামে সন্তান জন্ম দিতে না পারেন।

একে কুসংস্কার হিসেবে মানতে নারাজ গ্রামবাসী। তারা জানান, জন্ম দেয়ার সময় সন্তানের বিকলাঙ্গ হওয়া বা মারা যাওয়ার বিষয়টি তারা নিজ চোখে দেখেছেন। এজন্য জরুরি অবস্থা সামলাতে তারা গ্রামের বাইরে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য একটি বাড়ি করেছেন।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here