খবর৭১হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুই নারীসহ আবার ও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এসব ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার দিরাই ও জামালগঞ্জ উপজেলায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দণি বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরানগাঁওয়ের হযরত আলীর স্ত্রী শাহানা বানু (৩৫), একই উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ক্ষিরদরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে সুরমা বেগম (২২)।তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মুক্তুল হোসেনের ছেলে কৃষক নূর হোসেন (২২) ও দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ডুববন্ধ গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে ফেরদৌস (১২) এবং দিরাই উপজেলার ৯নং কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংগর গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে মুসলিম উদ্দিন (৭৫)।প্রায় একই সময়ে বিশ্বম্ভপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে শাহানা বানু বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে দ্রুত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেনআহতরা হলেন, ফেরারবাক ইউনিয়নের হঠামারা গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহেদ আলীর ছেলে তৈয়বুর রহমান (১৭), একই গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে আব্দুর রহমান ও সাহেব আলী ছেলে নবী হোসেন।ফেনারবাক ইউপির সদস্য কে এম আব্দুর রহিম আহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন।জেলায় আকাশে মেঘ দেখলেই এখন বজ্রপাত আতংকে ভুগছে সাধারন মানুষ। ঝড়-বৃষ্টির সাথে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বজ্রপাত। গত ১৭ দিনে সুনামগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে ইতিমধ্যে ১৯ জননের মর্মান্তিক মৃত্য ঘটেছে। আহত হয়েছেন প্রায় একাধিক বিভিন্ন স্থানে পশুর মৃত্যু এমনকি গাছপালাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আকাশে বিদ্যুৎ চমকালেই গ্রামগঞ্জে বজ্রপাত ভীতিতে ঘরের বাইরে বেড় হচ্ছে না মানুষ। প্রতিনিয়ত বজ্রপাতে মানুষ মারা যাচ্ছে, এখন এমন হয়েছে অবস্থা বজ্রপাতের আতংকে জেলার মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। বর্ষা মৌসূমের শুরুতেই এভাবে ব্যাপক বজ্রপাতের ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলার সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বিশেষ করে জেলে সম্প্রদায় ও কৃষিজীবীরা সবচেয়ে বেশি আতংকে আছেন তারা মেঘ দেখলেই ঘরের বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছেন। মানুষ এর আগে এমন বজ্রপাতের ঘটনা এতাটা দেখেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আকাশে মেঘের গর্জন শুনলেই গ্রামের মানুষ ঘরের বাহিরে যেতে ভয় পাচ্ছন। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এ দুর্যোগে সারা জেলায় মানুষ আতংকে রয়েছেন। গতকালও দেখা গেছে আকাশে বিজলী চমকালেই গাড়ি রেখে কোথাও দ্রুত আশ্রয় নিচ্ছেন লোকজন। অবিভাবকরা সন্তানদের আর স্কুলে দিতে চান না। এই বুঝি বজ্র পড়লো-সবখানে এমন আতংক। ছাতকের এক কৃষক বলেন, বারী বর্ষণ ও বজ্রপাতের কারনে আমরা খুব সমস্যায় আছি। আজ সারাদিন টানা বৃষ্টির কারনে আমাদের খলা ডুবে গেছে। বৃষ্টির কারনে পাকা ধান কাটা সম্ভব হচ্ছেনা। অবশ্যই আমরা প্রায় ৮০% ধান কেটে শেষ করেছি। এক কথায় বজ্রপাতের ভয়ে সবদিকে এখন আতংক বিরাজমান।
খবর৭১/জি: