খবর ৭১:আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের ভারত সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সেখানে ডিনার পার্টিতে ভারতের অনেকেই বলেছেন- আওয়ামী লীগ আগামীতে আবারও ক্ষমতায় আসবে। তবে মোদি কোনো কথাই বলেননি।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, অনেক দলই নির্বাচনে অংশ নেবে। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে? তারা কি কখনও ক্ষমতায় বসিয়েছে? ২০০১ সালে আমরা হেরে গেছি। ভারত কি আমাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে? ভারত এটা করে না। আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ। কোনো বিদেশি শক্তি নয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ভারত সফরে গেছি। ভারত সরকার আমাদের অনেক গুরুত্ব দিয়েছে। নরেন্দ্র মোদি আমাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন। প্রায় বত্রিশ মিনিট তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি কথা বলেছেন, আমাদের কথা শুনেছেন। আমরা দেশের জন্য জনগণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
এই সফরে শিক্ষা থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যু কোনো কিছুই আলোচনায় বাদ পড়েনি বলে তিনি উল্লেখ করেন। কাদের বলেন, আমরা জানিয়েছি, তিস্তা চুক্তি হলে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির একেক নেতা একেক কথা বলছেন। খাদের কিনারে এসে লাফালাফি করছেন। এখন বলছেন- তারেক রহমান রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এতদিন স্বীকার করেননি। ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দেরে। বিএনপিকে আগে বলেছি প্যাথোলজিক্যাল লায়ার, এখন বলছি পূর্ণ মিথ্যাবাদী। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক মন্তব্যের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ফখরুল কি চিকিৎসক? চিকিৎসকরা বলুক। কীভাবে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে? কদিন আগে আমরা তাকে স্বাভাবিক দেখেছি। দৃশ্যত কোনো অবনতি দেখিনি। ভেতরে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে, তবে মেডিকেল বোর্ড দেখে বলুক। সরকার অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় অংশ নেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যে এলাকার নির্বাচন, সে এলাকার যারা ঢাকায় রয়েছেন, কেবল তারাই নির্বাচনী এলাকায় যাবেন। অযথা ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই। সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে বিরক্ত করবেন না।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
দলীয় সূত্র জানায়, বৈঠকে ভারত সফরের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হয়। এ সফর সফল হয়েছে উল্লেখ করে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা ফলপ্রসূ হবে তখনই যদি আওয়ামী লীগ গাজীপুর এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারে।
খবর ৭১/ এস: