পাইকগাছার গাংরখী ও শালুকখালী বদ্ধ নদীর নেট-পাটা অপসারণ ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত

0
459

শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা)প্রতিনিধি:
অবশেষে পাইকগাছার বহুল আলোচিত গাংরখী ও শালুকখালী বদ্ধ নদীর নেটপাটা অপসারণ করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। রোববার সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী নৌকা যোগে নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে বিভিন্ন স্থানে বসানো সকল অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করেন। এসময় নেট পাটা অপসারণের মাধ্যমে মৎস্য জীবি থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জন্য নদীটি উন্মুক্ত হওয়ায় নদীর দু’পাড়ে দাঁড়িয়ে শত শত এলাকাবাসী হাত তালি দিয়ে এমপিকে অভিনন্দন জানান।
পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী ও কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত প্রায় ৩ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যরে গাংরখী ও শালুকখালী নদীটি দীর্ঘ দিন যাবত এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল সরকারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে ইজারা নিয়ে বছরের পর বছর অবৈধ ভাবে নেট-পাটা দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এতে এলাকার তৃণমূল মৎস্যজীবিদের জীবিকার উপর বিরুপ প্রভাব পড়ে। দু’ইউনিয়নের সুষ্ঠু পানি সরবরাহ মারাত্বকভাবে বিঘিন্ন হয়। ব্যাহত হয় হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন। নানা প্রতিকূলতায় পানির সুষ্ঠু সরবরাহে এলাকাবাসী ইজারাদারদের কাছে বার বার অভিযোগ করলেও উল্টো তারা তাদের উপর চালায় নানা ধরণের নির্যাতন। এরপর থেকে এলাকাবাসী জোরদার ইজারাদারের হাত থেকে নদী অবমুক্ত করার দাবিতে বিভিন্ন সময়ে নানা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিল। তবে প্রভাবশালী ইজারাদারদের বিরুদ্ধে সাধারণ এলাকাবাসীর কোন আন্দোলন-সংগ্রামই এখন পর্যন্ত সফলতা পায়নি। সর্বশেষ এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্য আলাহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হককে বিষয়টি অবহিতপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
এব্যাপারে সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক জানান,এলাকাবাসীর নদী নিয়ে দুর্ভোগের ব্যাপারে তিনি প্রথমত নদীটির ইজারা কার্যক্রম বন্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপ-আনুষ্ঠানিক পত্র দেন। এঅবস্থায় গত ৩০ চৈত্র ইজারার মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে আর নদীর ইজারা প্রদান হয়নি।
এরপর রোববার সকালে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক নিজেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে গাংরখী সুইচ গেট হতে নৌকা যোগে প্রায় ৩ কিলোমিটার নদীর সকল অবৈধ নেটপাটা অপসারণ করে এলাকাবাসীর পানি সরবরাহের জন্য গাংরখী ও শালুকখালী নদী অবমুক্ত ঘোষণা করেন।
এদিকে নদী উন্মুক্ত হওয়ার পর ঐদিন বিকেলে এলাকাবাসী স্থানীয় দক্ষিণ কুমখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আনন্দ র‌্যালী,সমাবেশ ও মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
গড়ইখালী ইউনিয়ন আ’মীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অর্দ্ধেন্দু শেখর মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এমপি নূরুল হককে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। নেটপাটা অপসারণ ও সমাবেশ অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আ’লীগনেতা আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম,গড়ইখালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস,মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী,জেলা যুবলীগ নেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত,ইউপি সদস্য বিপুল কান্তি মন্ডল, আব্দুস সালাম কেরু,শহিদুল ইসলাম, অচিন্ত কুমার সরদার,দূর্গাদাশ মন্ডল,কাজল রানী বর্মন প্রমুখ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here