অসিম হায়াত,বালিয়াডাঙ্গী,(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি : কাঁটাতারের বেড়া দু’দেশকে বিভক্ত করলেও রক্তের বাঁধন ছিন্ন করতে পারেনি। তাই বাংলাদেশ ও ভারতে বসবাসরত আত্মীয় পরিজনদের মাঝে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি অব্যাহ রাখতে ঠাকুরগাঁওয়ের ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিজিবি ও বিএসএফ’র সহায়তায় অনুষ্ঠিত হলো দু’বাংলার মিলন মেলা।
রোববার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে হাজারো মানুষ প্রখর রোদ উপেক্ষা করে তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে একনজর দেখা করতে ছুটে আসেন ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার হরিপুর থেকে রানীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্তে। জেলার হরিপুর, কান্দাইল, বেতনা, কাঠালডাঙ্গী, ডাবরী, বুজরুক, ধর্মগড় ও জগদল সীমান্তের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দুই বাংলার লাখো মানুষের উপস্থিতিতে পরিণত হয় মিলন মেলা।
হাজারো মানুষ তাদের নিকট আত্মীয়দের দেখা করার জন্য পরিবারের স্বজনদের নিয়ে সকাল থেকে সীমান্ত গুলোতে জড়ো হয়। কাঁটাতারের বেড়া তাদের আলাদা করে রাখলেও আবেগ তাদের টেনে আনে সীমান্তের কাটাতারের বেড়ার কাছাকাছি। এতে সহযোগিতা করেন বিজিবি ও বিএসএফ। ঠাকুরগাঁও ছাড়াও পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকা হতে মানুষ জন ছুটে আসেন এখানে।
ঠাকুরগাঁও সীমান্তের ৮টি সীমান্ত এলাকা জুড়ে দু দেশের বাংলাভাষী লোকজন ছুটে আসেন তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে। বেলা ১২টায় বিজিবি ও বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া বরাবর এলাকায় আগত লোকজন যাওয়ার অনুমতি দেয়। চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।
অনেকে প্রিয়জনকে দীর্ঘদিন পর কাছে পাওয়ার আনন্দে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।এ সময় এক বিরল দৃশ্যের অবতারনা হয়। কাঁটাতারের দু’প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ তাদের প্রিয়জনদের জন্য বাড়ি থেকে আনা খাবার সহ নানা উপহার সামগ্রী বিনিময় করেন। আর যারা দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরেও প্রিয়জনকে পায়নি তারা এদিক ওদিক ছুটোছুটি করেন।
খবর ৭১/ইঃ