নোবিপ্রবিতে বর্ণিল আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পালিত

0
356

ছাফওয়ান নাঈম
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এর উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান নোবিপ্রবি পরিবারের সকলের মঙ্গল কামনা করে বলেন, বাংলা নতুন বছর ১৪২৫ সকলের জীবনেই বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি আর সম্মৃদ্ধি। বাংলা নববর্ষ ১ বৈশাখ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ উদযাপন উপলক্ষে নোবিপ্রবি আয়োজিত বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ বাসনা ব্যক্ত করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ স্বল্প উন্নত দেশের পদমর্যাদা থেকে উত্তরণ করে উন্নয়নশীল এক আত্মমর্যাদাশীল দেশে পদার্পণ করেছে। এ সফলতা দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের, তাই নতুন এ বছর আমাদের সবার জন্যই সাফল্য আর অর্জনের বছর। এসময় তিনি বাংলা নববর্ষের এ সার্বজনীনতা ও বাঙালির চিরাচরিত সংস্কৃতি-ঐতিহ্য হৃদয়ে ধারণ করে সকলকে আরো সম্মৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ণিল আয়োজনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলা নববর্ষ’ উদযাপন করা হয়েছে। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে এদিন শনিবার (১ বৈশাখ ১৪২৫, ১৪ এপ্রিল ২০১৮) বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- মঙ্গল শোভাযাত্রা, চিত্র প্রদর্শনী, বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সকাল ৯টায় দিনের প্রথমভাগে নোবিপ্রবি ফটোগ্রাফি এসোসিয়েশন চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সকালে এর উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান।

পরে “এসো হে বৈশাখ” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ গানকে প্রতিপাদ্য করে নোবিপ্রবি পরিবারে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এসে শেষ হয়।

পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানা রঙের বাহারি পোশাকে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সকলই মিলিত হয় বাঙালির প্রাণের এ উৎসবে। বাংলা-বাঙালির হিসেব ভুলে, নগর-গ্রাম আর ধনী-গরিবের বৈষম্য কাটিয়ে সবাই মেতে ওঠে সার্বজনীন বর্ষ বরণের মঙ্গল যাত্রায়। বাঙালির বর্ষবরণের এ বর্নাঢ্য আয়োজন বিশ্বের অন্যতম মঙ্গলযজ্ঞ।

প্রসঙ্গত, জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখেই এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন করা হয়। ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য এবছর মঙ্গল শোভাযাত্রার জাতীয় স্লোগান হলো ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। এটি আমাদের লালন সংগীতেরই একটি চিরন্তন উক্তি।

শোভাযাত্রার শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান ফিতা কেটে খেলার মাঠে আয়োজিত বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

সেখানে উপাচার্য উদ্বোধনী বক্তৃতা রাখেন। এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঞ্চালকদের নাটকীয় উপস্থাপনায় নোবিপ্রবি’র বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরেলা কণ্ঠের সংগীত ও কবিতা, কর্মকর্তাবৃন্দের গান, ছাত্র-ছাত্রীদের যৌথ নৃত্য পরিবশেনের মাধ্যমে জমে উঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নোবিপ্রবি’র বিভিন্ন অনুষদসমুহের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, দপ্তরসমূহের পরিচালক, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

নোবপ্রিবি’র পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো থেকেও সাধারণ মানুষ আসে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে। আগত অতিথি ও দর্শকরা প্রাণভরে অনুষ্ঠান উপভোগ করে।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে উপাচার্য মেলা প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।

পরে দিনব্যাপী আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। স্টলগুলোতে বাঙালির চিরাচরিত পান্তা-ইলিশ, নানা ধরনের ভর্তা ও পিঠা, বিভিন্ন টক, ঝাল, মিস্টি জাতীয় খাবার স্থান পায়।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here