এবার থলের বিড়াল বেরিয়ে এলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায়। হোয়াইট হাউসে বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশের নেতাদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে খোলাখুলিভাবে সৌদি আরবের কাছে সিরিয়া যুদ্ধের সামরিক ব্যয় দাবি করেছেন ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, সৌদি আরব যদি সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উপস্থিতি দেখতে চায় তাহলে তাদের ওয়াশিংটনকে তার ব্যয়ভার পরিশোধ করতে হবে। খবর আল জাজিরার।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশের নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাম্প বলেন, আমরা আইএসকে পরাজিত করার কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছি। শিগগিরই আমরা অন্যদের সঙ্গে সমন্বয়ের ব্যাপারে একটি নতুন সংকল্পে আসব। সৌদি আরব চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় আরও অবস্থান করুক। তবে এ জন্য মার্কিন সামরিক ব্যয় তাদেরই বহন করতে হবে।
এর আগে সোমবার সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি কৌশলগত অংশীদারত্ব এবং ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি পরিকল্পনাসহ আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এর আগেও সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছিল। গত সপ্তাহে ওহাইও অঙ্গরাজ্যে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি বেরিয়ে আসতে চাই। আমাদের সেনাদের আমি ঘরে ফিরিয়ে আনতে চাই।’
এমন সময়ে ট্রাম্প সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি বজায় রাখতে সৌদি আরবের কাছ থেকে অর্থ দাবি করলেন যখন রাশিয়ার সহযোগিতায় সিরিয়ায় নিজের অবস্থান সুসংহত করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এরই মধ্যে দামেস্কসংলগ্ন আসাদবিরোধীদের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি পূর্ব ঘৌটায় বিদ্রোহীদের পর্যুদস্ত করেছে আসাদ বাহিনী।
দামেস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কালামৌন এলাকাতেও বিদ্রোহীদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে দিয়েছে আসাদ বাহিনী ও রাশিয়া। এর আগে সমঝোতা অনুযায়ী পূর্ব ঘৌটা থেকে বিদ্রোহীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার সুযোগ দেয় সিরিয়ার সরকারি বাহিনী।
ট্রাম্প বলেন, আমরা এ যুদ্ধে কী পেয়েছি? শুধু লাশ আর ধ্বংসস্তূপ। অথচ আমাদের খরচ হয়েছে ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। তাই সিরিয়ায় আমরা আর নিজেদের অর্থ ব্যয় করতে চাই না।
খবর৭১/এস: