মান্দায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামলা করায় বাদীকে হুমকী!

0
332

সুলতান আহমেদ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নারী সহ তিনজনকে মারধরের ঘটনায় মামলা। আসামীরা জামিনে বের হয়ে এসে বাদীকে মেরেফেলা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী প্রদর্শন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের বর্দ্দপুর গ্রামে। বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেওয়ায় গত ২৬ মার্চ মান্দা থানায় জীবনের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হয়েছে।
বাদী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বর্দ্দপুর গ্রামের নূরে আলমের সঙ্গে ভিটামটি ও বাঁশঝাড় সহ মোট ১৮৭ শতক এর কাতে পৈত্রিক ও ক্রয় সুত্রে সাড়ে ৪২ শতক জমি নিয়ে তাঁর চাচাত ভাই আনারুল ইসলাম, খাদেমুল ও খলিলুরের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১৯ মার্চ মৈনম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আলীর উপস্থিতিতে বিরোধপূর্ণ ওই জমি মাপজোখ করছিলেন নূরে আলম। এ সময় আনারুল, খাদেমুল ও খলিলুর ওই জমি তাঁদের দাবি করে সেখানে মাপজোখ করতে নিষেধ করেন। বিষয়টি দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আনারুল, খাদেমুল ও খলিলুর লাঠিসোটা দিয়ে নূরে আলম (৩০), তাঁর স্ত্রী লিপি আরা (২৬) ও তাঁর মা আফিয়া বিবিকে মারপিট করে আহত করে। মারপিটে নূরে আলমের স্ত্রী লিপি আরা গুরুত্বর আহত হওয়ায় তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় পর দিন নূরে আলম বাদী হয়ে ৬জনকে আসামী করে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ঐ দিন রাতেই থানা পুলিশ ১ নং আসামী আনারুলকে গ্রেফতার করে । পরের দিন জেল হাজতে প্রেরন করে । দুই দিন পর ১ নং আসামীসহ ঐ ৫ জন জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামীরা বাড়িতে এসে বাদীকে মেরেফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী প্রদর্শন করছেন । একারনে নূরে আলমসহ তার পরিবার আতংকিত হয়ে বসবাস করছে।
এ ব্যাপারে নূরে আলম বলেন, ওই জমি পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক আমি । অথচ আমার চাচাত ভাইয়েরা অন্যায়ভাবে ওই জমি তাঁদের বলে দাবি করে আসছে। ওই জমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে ১৯ মার্চ চেয়ারম্যান, মেম্বারের উপস্থিতিতে আমীন (সার্ভেয়ার) দিয়ে ওই জমি মাপজোখ করতে ছিলাম। কিন্তু আনারুল, খাদেমুল ও খলিলুর সহ আরো কয়েক জন আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। এতে করে আমি আমার মা ও আমার স্ত্রী গুরুত্বর আহত হই । থানায় মামলা করলে পুলিশ ১নং আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করলে। ১নং আসামী সহ জামিনে বের হয়ে এসে আমাকে মেরেফেলাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিচ্ছেন। তাই নিরুপায় হয়ে আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত ২৬ মার্চ মান্দা থানায় একটি জিডি করেছি। তাই ন্যায়বিচার পাব কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছি।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত (ওসি) মাহাবুব আলম জানান, ওসি সাহেব ছুটিতে আছেন আর আমি মন্ত্রি মহদোয়ের প্রটোকলে ব্যস্ত আছি আপনি জিডির ব্যপারে এসআই আলমগীর এর সথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে এসআই আলমগীর এর সাথে মোবাইলফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here