খবর৭১:চীনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বেলজিয়ামের প্রিন্স লরেন্টের মাসিক ভাতা ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। আগামী এক বছর তাঁকে কম ভাতা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
কারণ বেলজিয়ামের পার্লামেন্ট প্রিন্সের আবেগঘন চিঠিকেও আমলে নেয়নি।
সরকারের অনুমতি না নিয়ে প্রিন্স লরেন্ট সামরিক পোশাকে চীনা দূতাবাসের এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন গত বছর। সেই ছবি তিনি নিজে টুইট করেছিলেন।
অনুষ্ঠানটি ছিল চীনা সেনাবাহিনীর ৯০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে। সরকারের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে না জড়ানোর জন্য প্রিন্সকে সতর্ক করেছিলেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী।
এরপরও ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় প্রিন্সের ভাতা কমানোর প্রস্তাব পার্লমেন্টে উত্থাপনের পেছনে ছিলেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল। আইনপ্রণেতারা ১৫ শতাংশ ভাতা কমানোর প্রস্তাব পাস করেন।
এই জরিমানার ফলে প্রিন্স লরেন্টের বার্ষিক ভাতা তিন লাখ ৭৮ হাজার ডলার থেকে কমে দুই লাখ ৭০ হাজার ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি পার্লামেন্টকে একটি চিঠি লিখেছিলেন সেখানে ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে। তিন পৃষ্ঠার সেই চিঠিতে তিনি তাঁর আবেগকে তুলে ধরেছিলেন।
প্রিন্স লরেন্ট লিখেছিলেন, ‘একটা ছোট ঘটনা নিয়ে ভোটে আইনপ্রণেতারা আমার বিপক্ষে অবস্থান নিলে, সেটা আমার জীবনের জন্য বড় আঘাত হবে। ‘
রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় তিনি তাঁর জীবনের সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলোকেও আবেগ জড়িয়ে তুলে ধরেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘রাজপরিবারের সদস্য হওয়ায় জীবিকা নির্বাহে তিনি কোনো চাকরিও করতে পারেন না। এটা তাঁর স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টাকে বাধা দিয়েছে। ‘
একেবারে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, বিয়ে করার জন্য তাঁকে অনুমতি নিতে হয়। নিজের পছন্দের নারীকে বিয়ে করার জন্য এখনো তাঁকে মাশুল দিতে হচ্ছে। কিন্তু আবেগে ভরা এই চিঠিকে আমলে নেয়নি বেলজিয়ামের পার্লামেন্ট।
খবর৭১/জি: