হাতীবান্ধায় বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর নিয়ে উত্তেজনা….. মিমাংসার কথা বলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত

0
328

 

কাজী শাহ্ আলম,হাতীবান্ধা(লালমনিরহাট) ঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও মঞ্চ ভাংচুরের ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার ১২ দিনে পুলিশ তদন্তের অজুহাতে জড়িতদের গ্রেফতার না কারায় ছাত্রলীগের মাঝে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে ৫ ঘন্টা সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে পরে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন।
জানা গেছে, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার মধ্যম কাদমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মঞ্চ ভাংচুর করা হয়। ওই বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থপনা কমিটির সভাপতি জিহাত হোসেন বাবু এ ভাংচুরের ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করেন। পরে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের মধ্যস্থতায় ১৮ মার্চ রাতে স্থানীয় ভাবে তা মিমাংশা হয়। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ ১৯ মার্চ দৈনিক মানব কন্ঠসহ বিভিন্ন গণ মাধ্যমে প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে ছাত্রলীগ। স্থানীয় ছাত্রলীগ সড়েজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় গত ২৫ মার্চ হাতীবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা ছাত্রলীগ। সংবাদ সম্মেলনে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময় ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনাটি মিমাংশা করেছেন।
বুধবার দুপুর ১২ টায় ওই ঘটনায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন। পরে কয়েকজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ২য় তলায় বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে মিমাংসার কথা বলে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেন ভেলাগুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মহিরউদ্দিন।
হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার জিহান সাংবাদিকদের বলেন, মিমাংশা নয়, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতার জন্য চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক করেছি। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর কারীদের সাথে কোনো আপোষ নয়।
তবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডেকে ৫ ঘন্টা সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে বিকাল ৪ টায় তা স্থগিত করেন ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন। এ দিকে ঘটনার ১২ দিন অদিবাহিত হলেও কোনো আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন জানান, ওই দিন বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর আমি টাকার বিনিময় ঘটনা মিমাংশার করিনি। আমার বিরুদ্ধে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক বরকত হোসেন জানান, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। কোনো ভাবেই বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
হাতীবান্ধা থানার ওসি উমর ফারুক জানান, আমি এ থানায় নতুন এসেছি। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here