উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের একটি মুদি দোকান থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে নড়াইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের একটি টিম। বুধবার (২৮ মার্চ) সকালে নড়াইল পৌরসভাধীন মুচিপোল এলাকার এ.কে.কে ভ্যারাইটিস স্টোরে অভিযান চালিয়ে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে নড়াইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জানা গেছে, নড়াইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী উপপরিদর্শক জনাব মোঃ গোলাম মোস্তফা, সিপাই দীপঙ্কর ম-ল, সিপাই মোঃ মহিবুল ইসলাম, অফিস সহায়ক মোঃ আশরাফুল ইসলাম এবং জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর দুইজন সদস্য এর সমন্বয়ে একটি রেইডিং টিম উল্লিখিত এ.কে.কে ভ্যারাইটিস স্টোরে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে ওই দোকানের সিগারেট সংরক্ষণের জন্য সামনের দিকে রাখা কাঠের তাকের উপর থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজা পায় অভিযান পরিচালনাকারী দলের সদস্যরা। এ সময় মাদক বিক্রির অপরাধে ওই দোকানের মালিক অরবিন্দ কুুুুন্ডকেও(৫০) আটক হয়। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ সনের ১৯(১) এর ৭(ক) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। নড়াইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক জনাব বিদ্যুৎ বিহারী নাথ জানান, মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে জাতিকে মুক্ত করতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছি। যার ধারাবাহিকতায় সফল অভিযানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদকব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের ‘জিরো টলারেন্স’ চলমান থাকবে। এদিকে আটককৃত অরবিন্দ কু-ুর স্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ। সে একটু আগেই বাড়ি থেকে এসেছে এবং তার স্বামী মাদকব্যবসায়ের সাথে জড়িত নয় বলেও জানান। তার স্বামীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ভাই ভাই ইলেক্ট্রনিক্সের মালিক বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, এক সপ্তাহ আগে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে ভারত থেকে চিকিৎসা হয়ে এসেছে। কোনো প্রকার নেশাদ্রব্য পান করার জন্য চিকিৎসকেরা তাকে বারণ করেছে। সে সকালে নাস্তা সেরে বাজারে আসার সাথেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ঘিরে ফেলে। অরবিন্দুর কাছে গাঁজা ছিল কি না এটা আমরা দেখতে পাই নাই। হানিফ পরিবহনের নড়াইল কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, অরবিন্দু দোকানে ঢোকার আগেই তাকে ঝাপটে ধরে। পরবর্তীতে তার ঘর তল্লাশি করে লাল রঙের একটি ব্যাগের ভেতর কয়েকটি গাঁজার পুটলা দেখায়। কিন্তু গাঁজাগুলো আদৌ অরবিন্দুর কিনা তা আমরা জানি না। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক মাদকসেবী বলেন, অরবিন্দু দা আগে গাঁজা বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও ভারত থেকে ফেরার পর বহুবার সিদ্ধি ওরফে গাঁজা কিনতে গেলে সে কয়েকদিন ঘুরিয়েও আমাদের গাঁজা দিতে পারে নাই। এ বিষয়ে নড়াইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী উপপরিদর্শক জনাব মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, অরবিন্দর দোকান থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে এবং নড়াইল সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে এবং আসামিকে কোর্টের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হবে।
খবর ৭১/ ই: