খবর৭১: চৈত্র মানেই কাঠফাটা রোদে, সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। আর এই কাঠফাটা রোদে বাইরে বেরোলে তৃষ্ণায় যেন প্রাণটা ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে। এই সময় প্রাণ জুড়াতে তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু তৃষ্ণা মেটাতেই নয়, এটি দেহে প্রচুর পরিমাণ খনিজ, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। এছাড়া তরমুজ অনেক উপায়ে আমাদের ওজন বৃদ্ধি এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কারেও সাহায্য করে।
কিন্তু যখনই তরমুজের খোসা খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে। তখনই মনে হয় এটা খাওয়া কি নিরাপদ? অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে তরমুজের খোসা সালাদ এবং জুস বানিয়ে খাওয়া যায়।
তরমুজের খোসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাই। উপকারিতাগুলো–
উপকারিতা # ১
বিভিন্ন গবেষণা দাবি করা হয়েছে, তরমুজের খোসায় রয়েছে অনেক পুষ্টি। এতে রয়েছে জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, এ এবং সি। এ ছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
উপকারিতা # ২
এটি কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোনো কাজের আগে শক্তি বৃদ্ধিতে তরমুজের খোসা খাওয়া ভালো।
উপকারিতা # ৩
বলা হয়ে থাকে লাইকোপেন- জরায়ু, অন্ননালী, কোলন এবং অগ্ন্যাশয়ের মতো ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। তরমুজে রয়েছে এই লাইকোপেন।
উপকারিতা # ৪
এ ছাড়াও তরমুজের খোসায় রয়েছে ফাইবার। এটি হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি শরীরের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
উপকারিতা # ৫
তরমুজের খোসা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা এটা খেয়ে দেখতে পারেন।
উপকারিতা # ৬
তরমুজের খোসা কিছু মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করে থাকে। এটা কিডনীর জন্য খুব উপকারি।
উপকারিতা # ৭
খোসা খেলে যৌনক্ষমতা বাড়ে। এতে রয়েছে সিট্রুলিন। এটি যৌনক্ষমতা বাড়ায় এমন সব ওষুধে ব্যবহার করা হয়।
খবর৭১/জি: