খবর ৭১: শেষ পর্যন্ত ফাইটিং স্কোরই গড়েছে শ্রীলঙ্কা। ৪০ এর কোটায় ৫ উইকেট হারালেও দুই পেরেরার ব্যাটে ভর করে ৭ উইকেটে তুলেছে ১৫৯ রান। বাংলাদেশকে জিততে হলে তুলতে হবে ১৬০।
কোনঠাসা হয়ে পড়া শ্রীলংকাকে খেলায় ফিরিয়েছেন কুশল পেরেরা ও থিসেরা পেরেরা। ষষ্ঠ উইকেটে দ’জনে মিলে গড়েছে বড় জুটি।
৪১ রানে শ্রীলংকার টপ অর্ডার ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের কঠিন চাপে ফেলে দিল টাইগাররা।ইনিংসের শুরু থেকেই সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলংকা। শুরুটা করেন সাকিব। এরপর দুই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। শুধু তাই নয়! উপল থারাঙ্গাকে রান আউটও করান তিনি।
বাকি রইলেন না মেহেদী হাসান মিরাজও। জীবন মেন্ডিসের উইকেট তুলে নেন মিরাজ। বাংলাদেশ দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে ইনিংসের শুরুতে উইকেট তুলে নিয়ে টাইগার শিবিরে আত্মবিশ্বাস ফেরালেন সাকিব। ২.১ ওভারে ১৫ রানে ওপেনার গুনাথিলাকার উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে স্বাগতিকরা।
সাকিবের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সাব্বির রহমান রুম্মনের তালুবন্দি হন গুনাথিলাকা। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ রান করেন লংকান এই ওপেনার। ১৪ বলে ১১ রান করা অন্য ওপেনার কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মোস্তাফিজ। উপল থারাঙ্গাকে রান আউটে ফেলেন কাটার মাস্টার।
এরপর দাসুন শানাকে সাজঘরে পাঠান মোস্তাফিজ।লংকান শিবিরে এরপর আঘাত হানেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে মোস্তাফিজের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন জীবন মেন্ডিস।টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ দল। বাঁচা মরার লড়াইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলংকা-বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচে যারাই জিতবে ১৮ মার্চের ফাইনালে তারা ভারতের বিপক্ষে ট্রফির লড়াই করবে।