আবু রায়হান দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থানা-পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে তালোড়ার লাফাপাড়া মহল্লায় অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে। পরে পৌর মেয়র আব্দুল জলিল খন্দকারে উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে মেয়ের বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় এক ব্যক্তি ওই মেয়ের পড়ালেখা দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালোড়ার পৌর এলাকার লাফাপাড়া মহল্লায় দিনমজুর রফিকুল ইসলামের মেয়ে রাবেয়া রুমকি(১৫) এবার তালোড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বাবার আয়ে সংসার চলে না। তারপর মেয়ের লেখাপড়ার খরচ। এমনটি ভেবেই রুমকির বাবা একই পৌরসভা এলাকার স্বর্গপুর মহল্লায় শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপনে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। শুধু বর ও বরযাত্রীদের জন্য রাতের খাবারের ব্যবস্থা করেন রফিকুল। কিন্তু সংবাদ পেয়ে রাতেই হাজির দুপচাঁচিয়া থানা-পুলিশ। ততক্ষণে বর ও বরযাত্রীরা কেউ আসেননি। পুলিশ পৌর মেয়র আবদুল জলিল খন্দকারে উপস্থিতিতে মুচলেকা নিয়ে মেয়ের বাবাকে ছেড়ে দেন পুলিশ।
পৌর মেয়র আবদুল জলিল খন্দকার বলেন, ওই গ্রামের ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ মেয়ের পড়ালেখার খরচ দিবেন বলে দায়িত্বও নিয়েছেন।
দুপচাঁচিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা লিখে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
খবর ৭১/ ই: