খবর ৭১:
আগামী জুলাই মাসে দেশের পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর পবা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই। কখন কোন তারিখে নির্বাচন হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে বলতে পারি, সব নির্বাচন হবে জুলাই মাসের মধ্যে।
এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের বর্তমান নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসে। এর মধ্যে গাজীপুরের ৪ সেপ্টেম্বর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর, সিলেটের ৮ অক্টোবর ও বরিশালের ২৪ অক্টোবর নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে।
এ অবস্থায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৯ এপ্রিল থেকে ৫ অক্টোবর, খুলনায় ৩০ মার্চ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর, বরিশালে ২৭ এপ্রিল থেকে ২৩ অক্টোবর, সিলেটে ১৩ মার্চ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর এবং গাজীপুরে ৮ মার্চ থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি অথবা এই বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে। অর্থাৎ ডিসেম্বরের ২০ তারিখের পর থেকে জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যেই এই নির্বাচনও হবে। এই মুহূর্তে পাঁচ সিটির নির্বাচন নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন।
তিনি বলেন, এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে সেটা কি পরিমাণে ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করবে ইভিএম মেশিন সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ওপর।
এ সময় বিএনপিসহ সকল দল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে কেএম নুরুল হুদা উপজেলার দামকুড়াহাট উচ্চবিদ্যালয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান ও পবা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিরদা শাহানাজ পারভীন উপস্থিত ছিলেন।