নারায়ণগঞ্জে মাদ্রাসার ৩০ শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা

0
313

খবর ৭১:নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মুছাপুর দারুসুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ৩০ শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা করেছেন মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদ্রাসার সভাপতি শাহাদৎ হোসেন ও আরবি শিক্ষক আব্দুস সালামের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানেজিং কমিটির সভায় মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ৩০ শিক্ষার্থীকে জুতাপেটা করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন। ঘটনার পর থেকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাদ্রাসায় যাননি বলে সূত্র জানায়।

শিক্ষার্থীরা জানান, বৃস্পতিবার ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাজ্জাদ পাঞ্জাবীর সঙ্গে পেন্ট পরে মাদ্রাসায় আসে। এতে আরবি শিক্ষক আব্দুস সালাম সাজ্জাদকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় ছাত্ররা প্রতিবাদ জানায়। পরে ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালে বিনা এজেন্ডায় সালাম মাস্টার বিষয়টি উত্থাপন করেন। এরপর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ১০ম শ্রেণির ৩০ ছাত্রকে কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে মাঠে দাঁড় করিয়ে জুতাপেটা করেন।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বুধবার বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শেষে ছাত্ররা বন্দর থানায় অভিযোগ করে।

এ ব্যাপারে মাদ্রসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মহিউদ্দিন জানান, ছাত্ররা উশৃংখল আচরণ করে ও মাদ্রাসার মহিলা শিক্ষককে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে। এ কারণে সভাপতি তাদের জুটাপেটা করেছেন। আব্দুস সালাম মাস্টার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ ক ম নুরুল আমিন বলেন, শিক্ষার্থীরা অন্যায় করলে তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের কাছে বিচার দিতে পারতেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জুটাপেটা শাসন নয় এটা অপরাধ। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করে দেব। বন্দর থানার ওসি শাহীন মন্ডল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। সমাধান না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খবর ৭১/ এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here