এসকে,এমডি ইকবাল হাসান,লোহাগড়া(নড়াইল):
নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ(৫২) হত্যাকান্ডের সকল আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার ও দ্রæত বিচার আইনে বিচারের দাবিতে বুধবার বিকালে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার(৭ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে দিঘলিয়া ইউনিয়নের বিক্ষুব্ধ মানুষ জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ(৫২) হত্যাকান্ডের সকল আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার আইনে বিচারের দাবিতে কুমড়ি পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। স্বতঃস্ফুর্তভাবে হাজারো মানুষ সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে নিহতের বড় ভাই ও হত্যা মামলার বাদি শেখ সাইফুর রহমান হিলু সহ গ্রামবাসিরা অভিযোগ করেন, হত্যাকান্ডের ২০দিন অতিবিাহিত হলেও পুলিশ দুজন ছাড়া অন্য কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রশাসনের নাকের ডগায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানকে হত্যা করলেও পুলিশ আসামী ধরবার ব্যাপারে সন্তোষজনক কিছুই করেনি। এজাহারভূক্ত আসামী ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা পলাশকে হত্যার আগেই নিজনিজ বাড়ির মালামাল সরিয়ে ফেলেছিল। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পলাশকে হত্যা করা হয়েছে। আসামীরা এখন মামলার কার্যক্রম বিভ্রান্ত করবার জন্যে নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে নিজেদের দু,একটি বাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ করে এ অপকর্মের দায় পলাশ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা করছে। ২০০৭ সালে সন্ত্রাসী কোটো ও বনি শেখ কুমড়ি গ্রামের আলেক গাজীর স্ত্রী হাজেরা বেগমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। হাজেরা বেগম তখন নড়াইল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী দিয়েছিল যে, সন্ত্রাসী কোটো ও বনি শেখ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে। অথচ ওই মামলার আসামীরাই এখন আলেক গাজীর বাড়ি ভাংচুরের কথিত অভিযোগ আনছে। আসামী গ্রেফতার না করে পুলিশ চুপ থাকায় নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। আসামীরা এখন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।
সমাবেশে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, পলাশ হত্যাকান্ডের পর কুমড়ি গ্রামে কোন আসামীর বাড়িঘর ভাংচুরেরর ঘটনা ঘটেনি। আসামী গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেখ মুক্ত রহমান, রাজ্জাক শেখ, মুজাহিদ সরদার , রেখা খানম,মিজানুর রহমান সরদার প্রমুখ।
প্রসঙ্গতঃ গত ১৫ ফেব্রæয়ারি বেলা ১১টা ৪৫ এর দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের পরিসংখ্যান অফিসের পাশে পাঁকা রাস্তার মোড়ে দিঘলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ কে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই সাইফুর রহমান হিলু বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় ১৫ জনকে আসামি করে ১৭ ফেব্রæয়ারি রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৫। মামলা দায়েরের পর ১৭ ফেব্রæয়ারি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। এর আগেই পুলিশ আওয়ামীলীগ নেতা শরীফ মনিরুজ্জামানের ভাই (মামলার ২নং আসামী) মোঃ বাকিবিল্লাহ কে গ্রেফতার করে।
সমাবেশে বক্তরা আরো বলেন, অন্যায়, চাঁদাবাজি,অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আসামীরা পরিকল্পিতভাবে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশকে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। দ্রুত মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানান এলাকাবাসী।
খবর৭১/জি: