এসকে,এমডি ইকবাল হাসান,লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ(৫২) হত্যাকান্ডের সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে রোববার বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা দেড়টার দিকে দিঘলিয়া ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে লোহাগড়া শহরে চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ(৫২) হত্যাকান্ডের সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল বের করে।
মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদ এর গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান, ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান টগর, নিহতের ভাই মোঃ মুক্ত রহমান, জাতীয় কৃষক সমিতির নড়াইলের সভাপতি মনিউর রহমান জিকু, ইউপি মেম্বর মিতু আরা পারভীন।
১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টা ৪৫ এর দিকে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের পরিসংখ্যান অফিসের পাশে পাঁকা রাস্তার মোড়ে দিঘলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ কে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই সাইফুর রহমান হিলু বাদি হয়ে লোহাগড়া থানায় ১৫ জনকে আসামি করে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৫। মামলা দায়েরের পর ১৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী নড়াইল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শরীফ মনিরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। এর আগেই পুলিশ আওয়ামীলীগ নেতা শরীফ মনিরুজ্জামানের ভাই (মামলার ২নং আসামী) মোঃ বাকিবিল্লাহ কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ১৮ ফেব্রুয়ারি শরীফ মনিরুজ্জামানকে লোহাগড়া থানায় আনা হয়। ১৯ ফেব্রুয়ারি শরীফ মনিরুজ্জামানকে আদালতে সোপর্দ করা হয় এবং ১০দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করা হয়। নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁর আদালতে হত্যা মামলার ১নং আসামী শরীফ মনিরুজ্জামান মনিরের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি শরীফ মনিরুজ্জামানকে লোহাগড়া থানায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২৫ ফেব্রয়ারি সকালে শরীফ মনিরুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়। সমাবেশে বক্তরা বলেন, অন্যায়,চাঁদাবাজি,অপকর্মেও প্রতিবাদ করায় আসামীরা পরিকল্পিতভাবে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশকে প্রকাশ্য দিবালোকে নৃশংসভাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। প্রশাসনের প্রতি দ্রুত মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দাবি করেন এলাকাবাসী। এর আগে নড়াইল শহরে এলাকাবাসী খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান,মামলার সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
খবর ৭১/ ই: