খবর৭১: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন তাঁর আইনজীবীরা। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির ভবনের দক্ষিণ হলে তারা এ বৈঠক করেন। আপিল ও জামিনের বিষয়ে দুপুর আবারও জরুরি বৈঠক করবেন তারা।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের নেতৃত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীর সমিতির সভাপতি অ্যাড, জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহাবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাড. খন্দকার মাহাবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়াসহ প্রমুখ আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার এই মামলার সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অ্যাড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আপিল ও জামিন করা হবে কিনা আমরা সে বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত নেবো। দুপুরের মধ্যে আশা করছি, আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছাবো।’
এর আগে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতেই মুহাম্মদ আলীর ধানমন্ডিস্থ চেম্বারে আইনজীবীদের একটি প্যানেল এই পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পর ওই দিনই কড়া নিরাপত্তায় খালেদা জিয়াকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই বন্দী আছেন।
রায়ের ১২ দিন পর সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামানের কার্যালয় থেকে এ অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় রায়ে মোট ৬৩২ পৃষ্ঠা ছিল। কার্টিজ পেপার বা দলিলে সত্যায়িত হওয়ার পর রায়ের কপিতে কাগজ সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৬৮ পৃষ্ঠা। তার সাথে আরও যুক্ত হয় ৬ পৃষ্ঠার আদেশ। প্রতি পৃষ্ঠায় বিচারকের মোহর (সীল) এবং স্বাক্ষর রয়েছে।
খবর৭১/জি: