খবর৭১: চলতি এসএসসি পরীক্ষার একটি বিষয়ের সম্পূর্ণ প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়ের গঠন করা কমিটি। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় আংশিক প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেয়েছেন তারা। আর যেসব পরীক্ষার প্রশ্ন কয়েক ঘণ্টা আগে বা আগের দিন সামাজিক মাধ্যমে এসেছে, সেসব পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করতে যাচ্ছে তারা।
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
অবশ্য যে বিষয়ে প্রশ্ন পুরোটা ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে তা জানাননি সচিব। বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তা জানা যাবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রায় সবগুলো বিষয়ের পরীক্ষার এমসিকিউ এর প্রশ্নই আগেভাগে এসেছে সামাজিক মাধ্যমে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি।
দুটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর ৪ ফেব্রুয়ারি প্রশ্ন ফাঁস বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশ করতে মো. আলমগীরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের কমিটি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এবার পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগেই ২৫ জানুয়ারি সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেলে পরীক্ষা বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী পরে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছিলেন ঢাকাটাইমসকে। এমনকি কমিটির প্রধান মো. আলমগীরও গত ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রথম বৈঠক শেষে পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে তাদের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
তবে আজ মো আলমগীর বলেন, ‘কিছু কিছু আংশিক আছে। কিছু কিছু পুরোপুরি আছে। যেসব বিষয়ের আংশিক ফাঁস হয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে পুরো পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করবে না কমিটি।’
সচিব বলেন, ‘যদি অবজেকটিক টাইপের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকে বাকিটার পরীক্ষা নতুন করে নেব না, শুধু অবজেকটিভের জন্য পরীক্ষা হবে। যদি পরীক্ষা চলার এক-দুই ঘণ্টার আগে বা তিন ঘণ্টা আগে বা আগের দিন যদি ফাঁস হয়ে থাকে।’
তবে বেশিরভাগ প্রশ্ন পরীক্ষার আগ মুহূর্তে সামাজিক মাধ্যমে এসেছে জানিয়ে সচিব জানান, ঠিক আগে প্রশ্ন ফাঁস হলে সেগুলো বাতিলের পক্ষপাতি নন তিনি। বলেন, ‘যদি দেখা যায় ৫০০ ছেলেমেয়ে এরসঙ্গে জড়িত, এজন্য তো ২০ লাখ ছেলেমেয়ের পরীক্ষা বাতিল করা ঠিক হবে না।’
এর প্রশ্ন কখন ফাঁস হয়েছে বলে সেগুলো এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান কমিটির প্রধান।
কমিটির প্রতিবেদন কবে দেয়া হবে-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সভা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করব আমরা। আর প্রতিবেদন জমা দেব ২৬ ফেব্রুয়ারি।’
খবর৭১/এস: