খবর ৭১: পঞ্চম দিনে ব্যাট করা সাধারণত ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। এরই মধ্যে আগের দিন শেষ সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে অনেকটা চাপে টাইগাররা। তবে এর মধ্যে আশার আলো মুমিনুল হক। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন দাস। দুইজনের ব্যাটে একশ পাড় করেছে বাংলাদেশ দল।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে হারিয়ে ১৬০ রান। মুমিনুল ৫৫ আর লিটোন দাস ৩৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। এখনো বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে ৪০ রানে।
এর আগে চতুর্থ দিনে ২০০ রান পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল আর তামিমের সাবধানি সূচনাটা অনেকেরই হয়তো ভালো লেগে থাকবে। কিন্তু টেস্টে ধৈয্যের পরিচয় তো সহসা আউট হওয়ার মধ্যে নয় কিংবা বিপজ্জনক শট খেলার মধ্যেও নয়।
এই চিন্তাটা উদয় হচ্ছে না বলেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বারবার আত্মাহুতি দিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ট্র্যাক রেকর্ড খুব একটা ভালো নেই, সেখানে কেন বিপজ্জনক শট খেলে উইকেট হারিয়ে আসবে? ইমরুল কায়েস আর তামিম ইকবাল তো সে কাজই করলেন।
চট্টগ্রামের উইকেট যে পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব সেটা তো লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা প্রমাণ করেই ছেড়েছেন। সেখানে তামিম আর ইমরুলের সাবধানি শুরু এবং রান করাতে অবাক করার কিছুই নেই। কিন্তু হঠাৎই ধৈয্যহারা হয়ে পড়লেন ইমরুল কায়েস। দিলরুয়ান পেরেরার বলে স্কোয়ার লেগে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলেন ইমরুল। সেখানে দাঁড়ানো দিনেশ চান্ডিমালের হাতে অতি সহজেই তালুবন্দী হয়ে যায় বলটি। ১৯ রান করে ফিরে যান ইমরুল।
মুমিনুল হককে আরও ধৈয্যশীল এবং সাবধানি মনে হচ্ছিল তামিম ইকবালকে। এ দু’জনের জুটি চেষ্টা করছিল প্রাথমিক বিপর্যয়টা কাটিয়ে উঠতে। তবে লঙ্কান স্পিনারদের বলে বেশ সতর্কতার সঙ্গে খেলতেও হচ্ছিল বাংলাদেশকে। তবে, ইনিংসের ২২তম ওভারে লক্ষ্মণ সান্দাকানের অফ স্ট্যাম্পে থাকা বলটিকে পুশ করতে চেয়েছিলেন তামিম। অন্য যে কোনো স্পিনারের চেয়ে সান্দাকানের বলের গতি একটু বেশি এবং স্কিডও করে ভালো। ফলে, টাইমিংটা ঠিক মতো হলো না। ফল, ব্যাটের উপরের কানায় লেগে বল গিয়ে জমা পড়লো উইকেটরক্ষকের হাতে।