খালেদার রায় নিয়ে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করবেন না

0
269

খবর ৭১:খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঘুষ খাবেন এতিমদের টাকা মেরে খাবেন আর বিচার হবে না তা ভাবেন কী করে। আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামী লীগ দেয়নি।

মামলা দিয়েছে তত্বাবধায়ক সরকার। মামলায় রায় কী হবে তা নিয়ে বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে। বিএনপি নেতারা জানে তাদের নেত্রী এতিমদের টাকা মেরেছেন। তাই তার সাজা হবে। সাজা নিয়ে তাই বিএনপি দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। রায় নিয়ে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করবেন না। রায়ে সাজা হলে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের কৃষ্ণনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না।

যারা অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে জণগনই ব্যবস্থা নিবে। বিচার চলবে তার নিজস্ব গতিতে। খালেদার বিচার নিয়ে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করেনি।
ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ বলেন, শেখ হাসিনার স্বপ্নই হচ্ছে দেশের উন্নয়ন, দেশের মানুষের উন্নয়ন। আগে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি রাষ্ট্র হিসাবে বলা হতো। এখন সেই তলাবিহীন ঝুঁড়ির সেই দেশ এখন উন্নয়ন উপচে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। ফলে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন শেখ হাসিনা, যিনি বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাব।

আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকা প্রতিকে ভোট দেবার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশকে উন্নয়নের দিকে রাখতে চাইলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসলে দেশের অবস্থা আবারো খারাপ হবে। যে সরকার, যে দল দেশের উন্নয়ন করে তাদের পক্ষেই ভোট দিতে হবে। যারা টাউটারী-বাটপারী করে তাদের ভোট দেবেন না।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাশারুল আলম বাদশার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত ইবনে সালাম, কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক মাষ্টার, অমিতাব বোস, আবু নাঈম প্রমুখ।

সমাবেশের আগে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে ২২ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকার ৯টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তিনি।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here