সুন্দরগঞ্জে ইমারত শ্রমিকদের ফলাফল নিয়ে দ্বন্দ্ব

0
295

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং-রাজঃ ৩০৯১)’র নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে তুমুল দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, গত ১৯ জানুয়ারী সুন্দরগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ ও রাতে গণনা সম্পন্ন হয়। এতে ১ হাজার ৭’শ ৬২ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৫’শ ৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর মধ্যে ৬’শ ১২ ভোট পেয়ে লাবলু মিয়া (মোটর-সাইকেল), সাধারণ সম্পাদক পদে সমসংখ্যক প্রার্থীর মধ্যে ৫’শ ১৭ ভোট পেয়ে সাজেদুল ইসলাম (হাতী) ও ধর্ম সম্পাদক পদে ৪ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর মধ্যে ৪’শ ১৯ ভোট পেয়ে আমজাদ হোসেন (বাল্ব)সহ ৯টি পদে ৯ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। মর্মে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম ফলাফল ঘোষণা করে ফলাফলসীট প্রদান করেন। নির্বাচনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-আমীর হামযাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার- এসএম গোলাম কিবরিয়া নির্বাচনী কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এদিকে, নির্বাচনী ফলাফল নির্বাচনী ফলাফল সুষ্ঠু হয়নি বলে সভাপতি পদে ৫’শ ৪০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আব্দুল খালেক (হরিণ), সাধারণ সম্পাদক পদে ৪’শ ৮৭ ভোট পেয়ে একই অবস্থানে থাকা সাদেক প্রামাণিক (হাতুর) ও ধর্ম সম্পাদক পদে ৪’শ ৯ ভোট প্রাপ্ত মকবুল হোসেন (তলোয়ার) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে অভিযোগ করেন। এব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার- লুৎফর রহমান মুক্তা বলেন- অভিযোগ থাকায় ফলাফল ঘোষণা করা হলেও পূণরায় ভোট গণনার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ২/১ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত আব্দুল খালেক হরিণ ৬’শ ১৩ ভোট ও সাদেক প্রামানিক (হাতুর) ৫’শ ৪৭ ভোট পেয়েছেন বলে নিজেদেরকে নির্বাচিত হবার কথা বলেন। এনিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচন ও নির্বাচনী ফলাফলে কোন কারচুপি হয়নি। সম্পূর্ণরূপেই সুষ্ঠু হয়েছে। এব্যাপারে কোন আপত্তি থাকলেও ফলাফল কোনভাবেই পরিবর্তন হতে পারে না। প্রিজাইডিং অফিসারের প্রদত্ত ফলাফলে সভাপতি পদে নির্বাচিত লাবলু মিয়া (মোটরসাইকেল), সাধারণ সম্পাদক পদে সাজেদুল ইসলাম (হাতি) ও ধর্ম সম্পাদক পদে আমজাদ হোসেন (বাল্ব) বলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার কারসাজীমুলকভাবে পুণরায় ভোট গণনার জন্য প্রদত্ত নোটিশে বর্ণিত ২৯ জানুয়ারী বেলা ১১টার স্থলে পরবর্তী কোন সময় ভোট গণনা করেছেন। তা জানা নেই। এছাড়া ভোটার সংখ্যানুযায়ী সমসংখ্যক ছাপানো ব্যালট পেপারের ফাঁকা ব্যালট পেপার, ভোটারদের প্রদত্ত সীল সম্বলিত ব্যালট, সীল প্যাডসহ সকল প্রকারের নির্বাচনী উপকরণাদী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আওতায় ছিল। এগুলো তিনি সীলগলা করেননি। নির্বাচিত হিসেবে শপথ ও গ্রেজেট দাবী করে তারা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই নির্বাচনের ব্যাপারে কারসাজীর বিষয় অনেকটা অবগত আছি।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here