খবর৭১: বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে প্রায় চার হাজার ৩১৫ কোটি টাকা দিতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ইতোমধ্যে অর্থায়ন প্রস্তাবটিতে অনুমোদনও দিয়েছে সংস্থাটি।
‘ট্রান্সফর্মিং সেকেন্ডারি এডুকেশন ফর রেজাল্টস (টিএসইআর) প্রোগ্রাম’ নামের এই সহায়তা কার্যক্রমে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী লাভবান হবে। এই কর্মসূচির আওতায় শিক্ষাদান ও শিক্ষণ পদ্ধতির মানোন্নয়নের ওপর জোর দেয়া হবে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত কন্যাশিশুদের।
শিক্ষার মানোন্নয়নে পাঠ্যসূচির আধুনিকীকরণ, পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষকদের জবাবদিহিতাকে গুরুত্ব দেয়া হবে এই কার্যক্রমে। পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারেও কাজ করা হবে টিএসইআর’র আওতায়।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফ্যান জানিয়েছেন, ১৯৯৩ সাল থেকেই বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষায় লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে সাফল্য অর্জন করেছে। দেশটির পরবর্তী চ্যালেঞ্জ, দরিদ্র ছেলে ও মেয়ে- উভয়ের জন্য দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা নিয়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারে ৭০ শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী। আর দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারে ৬০ শতাংশেরও কম। এছাড়া গণিত, বাংলা ও ইংরেজির মতো বিষয়গুলোতে ভীতি কাজ করে তাদের মধ্যে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধেকের বেশিই গণিতে বাজে ফলাফল করেছে। বর্তমান পাঠ্যসূচিতেও এই সমস্যার কোনো সমাধান নেই। আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সিলেবাসের তুলনায়ও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের দেয়া এই অর্থ সুদমুক্ত ও ৩৮ বছরে ফেরতযোগ্য।
খবর৭১/এস: