ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করার এক পর্যায়ে শরীরে কেরসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সোমবার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া পৌরসভার নদীরপাড় মহল্লার মোঃ সাইফুল ইসলামের কন্যা মোছাঃ সাবিনা আক্তার (২৩) কে প্রায় দুই বছর পূর্বে নোয়াখালি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলা ভানুয়াই গ্রামের মৃত আকু মোল্লার পুত্র হেলাল উদ্দিন পিন্টুর কাছে বিবাহ দেয়। বিবাহের কয়েক মাস পর থেকে ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সাবিনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে স্বামী। গত ২৫ অক্টোবর রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের ভানুয়াই মহল্লার ভাড়া বাসা ঘাতক স্বামী হেলাল উদ্দিন পিন্টু মারপিট করার এক পর্যায়ে শরীরে কেরসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সাবিনার শরীরে। রাতেই স্থানীয়রা দগ্ধঅবস্থায় মেয়েটিকে প্রথমে নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সকাল ৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভার্ন ইউনিটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী সাবিনার মৃত্যু হয়। মৃত সাবিনার একটি দেড় মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
সোমবার সচেতন নাগরিক ব্যানারে পরিষদের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি পুলিশং কমিটির সাধারন সম্পাদক হারুন রশিদ হারুন, অধ্যাপক এটিএম মহিসিন শামিম,সাইফুল ইসলাম প্রমখূ। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বারাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
গৃহবধু সাবিনার পিতা সাইফুল ইসলাম বলেন, মেয়ের সুখের আশায় দুই মাস আগেও ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম জামাতাকে , এরপরও মেয়েকে বাঁচতে দিলনা, কেরসিন দিয়ে আগুন পুড়িয়ে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করার পর লাশটি আনতেও বাঁধা দিয়েছে, আমার মেয়ের হত্যাকরীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হউক সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমার।