গত অর্থবছরে বিমানের মুনাফা ২৮২ কোটি টাকা

0
8

জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। গত মাসে অনুষ্ঠিত বিমানের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আয়-ব্যয়ের এই হিসাব প্রকাশ করা হয়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, এই সময়ে বিমান এক হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। তবে এক্সচেঞ্জ লস ও ট্যাক্স পরবর্তী ২৮২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে।

গত ২১ ডিসেম্বর বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিমান পরিচালনা পর্ষদের সব সদস্যরা ছাড়াও শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এজিএমে জানানো হয়, কোভিড মহামারির পর টানা চতুর্থবারের মতো লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে বিমান এবং সর্বশেষ ১০ অর্থবছরে ৮ বারই নিট মুনাফা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২১টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ৩০টি গন্তব্যে মোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় এক লাখ বেশি। এছাড়া ৪৩ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করে ৬৩৭ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি।

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২২২ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডেল করে যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৩.১ শতাংশ বেশি। বিমান বিদেশি ৩২টি যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স ও ১৭টি কার্গো এয়ারলাইন্সকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা প্রদান করেছে। এ অর্থবছরে বিদেশি এয়ারলাইন্সের ৩৩ হাজার ২৯৭টি ফ্লাইটের ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৬০ জন যাত্রীকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদান করা হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমান দাবি করেছে, গত ৫৩ বছরে বিমান সরকার থেকে কোনো প্রকার ভর্তুকি গ্রহণ করেনি। সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩টি নতুন উড়োজাহাজ ক্রয় বাবদ (লোন ও সুদসহ) নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here