সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রায়হান শরীফ পুলিশের রিমান্ডে নানা তথ্য দিয়েছেন। পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় তাকে।
এসময় ডা. রায়হান জানান, হিন্দি সিনেমা দেখেই অস্ত্র সংগ্রহের আগ্রহ জাগে তার। ১০ বছর আগে হিন্দি সিনেমার খলনায়কদের কাছে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র দেখে তা নিজের কাছে রাখার শখ হয় তার।
রিমান্ডে অস্ত্রগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করা, এর যোগানদাতার নামসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে সেগুলে প্রকাশ করছে না বলে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) ৫ দিনের রিমান্ড শেষে রায়হান শরীফকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
পুলিশ সুপার জানান, হিন্দি সিনেমা দেখেই বিভিন্ন অস্ত্র নিজের কাছে সংগ্রহ রাখার শখ হয় ডা. রায়হান শরীফের। ছাত্রজীবনে সিনেমার খলনায়কদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দেখে তা নিজের কাছে রাখা ও সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়াটা তার অভ্যাসে পরিণত হয়। এমনকি অস্ত্র নিয়ে নিয়মিত ক্লাস করাতেন রায়হান শরীফ। ৫ দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে পুলিশকে এমনই তথ্য জানিয়েছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রায়হান শরীফ।
অস্ত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম বলেন, শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় পুলিশ অস্ত্র মামলায় রায়হান শরীফের ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুক্রবার ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
এদিকে, আরেক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াদুদ আলী বলেন, ক্লাসরুমে গুলির ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর বাবা আল আমিন বাদী হয়ে রায়হান শরীফকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে নিজের দোষ স্বীকার করেন ডা. রায়হান শরীফ।
গত ৪ মার্চ সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ক্লাস চলাকালীন কমিউনিটি মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফের গুলিতে আহত হয় ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল। পরে পুলিশ কলেজে পৌঁছে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৮১ রাউন্ডগুলি, বেশ কয়েকটি ধারালো ছুরিসহ আটক করে তাকে।