অধিকার প্রতিষ্ঠায় কোনো দেশকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার সবচাইতে উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের পর্যালোচনা। “জাতিসংঘের কোন অধীনস্ত কর্মকর্তা কী বললো, তাতে কিছু যায় আসে না,” ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের দেওয়া এমন বক্তব্য এবং উদ্বেগ প্রকাশ ছাড়া জাতিসংঘের করণীয় প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এ কথা বলেন মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজারিক।
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিদ্রুপাত্মক এই মন্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান, “মানবাধিকারের মূলনীতি সমুহ মেনে চলতে জাতিসংঘ যে আহবান জানিয়েছে তাতে কর্ণপাত করছে না বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘জাতিসংঘের অধীনস্ত কোন কর্মকর্তা কী বললো, তাতে কিছু যায় আসে না’ আমার প্রশ্ন হচ্ছে চরমভাবে মানবাধিকার, ভোটাধিকার এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে কোনো সদস্য দেশকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করা ছাড়া অধিকতর কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া জাতিসংঘের কাছে রয়েছে কীনা?”
জবাবে ডোজারিক বলেন, “আমার কাছে মনে হয় যেকোনো সদস্য রাষ্ট্রকে এসব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সবচাইতে উপযুক্ত পদক্ষেপ হতে পারে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ।”