বিএনপির চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে আছি। দেশের ১৮ কোটির মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমরা রাজপথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবো।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (জেটেব) উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে’ এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
মঈন খান বলেন, আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকবো। আমরা শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করি-আমরা বাংলাদেশে রাজনীতি করবো নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পথে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, বাকশালে বিশ্বাস করে না। বিএনপি শান্তির রাজনীতি করে, বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না। আর যতক্ষণ পর্যন্ত না বাংলাদেশের ১৮ কোটির মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনবো, ততক্ষণ ঠিক এভাবেই আমরা রাজপথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকবো।
তিনি বলেন, সবাই মিলে শপথ নিয়েছি-বাংলাদেশে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো। দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবন-যাত্রার মান আমরা উন্নত করবো।
আমরা এই আর্দশে রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।
ড. মঈন বলেন, ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের নামে এখানে একটি প্রহসনের নাটক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের কোটি কোটি মানুষ সেই নির্বাচনকে বর্জন করেছে। আর এখানে কোন নির্বাচন হয় নাই। এখানে ইলেকশনের নামে সিলেকশন হয়েছে। এটা শুধু বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ শুধু বলে নাই, আওয়ামী লীগের যারা ভোটার ছিলো, তারাও এই নির্বাচনে যায় নাই। কারণ তারা জানে, এই নির্বাচনে কে নির্বাচিত হবে এবং কে হবে না, এটা ভোট দিয়ে নির্ধারিত হবে না, এটা নির্ধারিত হয়েছে রাজধানী থেকে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, সরকার বলছে, বাংলাদেশ না কি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, যদি বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্রুত উন্নয়নকামী দেশ হয়ে থাকে তাহলে সেদেশে কেনো আজকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সমানে দাঁড়িয়ে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে হচ্ছে। কোথায় সেই উন্নয়ন? কার জন্য সেই উন্নয়ন? এই প্রশ্ন আজকে করতে হবে।
জেটেবের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।