সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : সৈয়দপুরে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে পিকআপ চালক নাজমুল হোসেন ডুবার (২৬) নামে এক সন্তানের জনক আত্মহত্যা করেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের গোলাহাট দক্ষিণপাড়ায় ওই ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার ভ্যান চালক বাবলু মিয়ার পুত্র।
এলাকাবাসী ও পুলিশের সুত্র জানায়, প্রায় চার বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে নাজমুল হোসেন নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা থানার বন্দর পাড়া এলাকার হাবলু ও রহিমা দম্পতির কন্যা নুর নাহারকে (২৬) বিয়ে করে। তাদের ঘরে রয়েছে ময়না (২) নামে এক শিশু কন্যা। গত ৩১ আগস্ট স্ত্রী নুরনাহার তার ওই কন্যা সন্তানকে পিত্রালয়ে রেখে সৈয়দপুরে স্বামীর বাসায় আসেন।
বাসায় আসার পরে কন্যাকে রেখে আসায় নাজমুলের মন খারাপ হয়। তখন থেকে শিশু কন্যা ময়নার জন্য স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এনিয়ে গত শনিবার রাতে নাজমুলের সাথে তার স্ত্রী নুরনাহারের ঝগড়া হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায় সে। এরই মধ্যে তার স্ত্রী সহ নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুজতে থাকে। পুলিশের সুত্রটি জানায়, সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গোলাহাট দক্ষিণ পাড়ার কিছু দুরে আবাদি জমিতে পানি দেওয়ার সেচপাম্প ঘরের পিছনে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় আকাশ মনি গাছের সাথে ঝুলতে দেখে গরুর ঘাস কাটতে যাওয়া ওই এলাকার এক নারী। ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সে চিৎকার দিলে লোকজন ছুটে গিয়ে নাজমুলকে গাছের সাথে ঝুলতে দেখতে পায়। সাথে সাথে তাঁকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল হক জানান, বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। হাসপাতালে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে লাশ থানায় আনা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে জানতে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা থানার এসআই মো. মোকসেদের মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য জানা যায়নি। তবে পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল হক বলেন প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পিকআপ চালক আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে আসল ঘটনা। এ ব্যাপারে থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।