সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারী সৈয়দপুরের এক পল্লীতে
ফসলী জমির সীমানা ও ড্রেনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এক শিক্ষক দম্পতির ওপর হামলা ও মারপিট করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষক দম্পতির ছেলে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে আবারও একই ঘটনা ঘটানো হবে বলে হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া মুন্সিপাড়ার বাসভবনে সংবাদ সমেম্মলে ওই অভিযোগ করেন শিক্ষক দম্পত্তি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রাইমারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুল করিম বলেন, আমার বাড়ির পাশে ফসলি জমির সীমানা ও ড্রেনকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশি আবুল হোসেন ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জেরে গত ১৬ জুন সন্ধ্যায় এলাকার প্রভাবশালী ও দুর্দান্ত প্রকৃতির আবুল হোসেনের নির্দেশে তাঁর দুই ছেলে বাদশা ও বাদলসহ ৪/৫ জন দুর্বৃত্তরা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তারা বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে আঘাত করতে আসলে আমার ছেলে মোখলেছুর রহমান মুকুল তাদের বাধা দেয়। আমার ছেলেকে সামনে পেয়ে তারা এলোপাথারি আঘাত করতে থাকে। একপর্যায় সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারা গেছে ভেবে সেখান থেকে চলে যায়। পরে এলাকাবাসি এসে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর শারিরীক অবস্থা অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। এখনও সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সে এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
কান্নাজড়িত কন্ঠ ওই শিক্ষক বলেন, প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন ও তাঁর ছেলেরা এলাকায় প্রভাবশালী। আমি যেন এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ বা মামলা না করি এ জন্য তাঁরা খুন, গুমের হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকির কারণে আমি স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। তাই আপনাদের মাধ্যমে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল করিমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে অভিযুক্ত আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও তার স্বাক্ষাত না মেলাও কোন মন্তব্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আব্দুল হালিমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু শোনেননি না বলে জানান।