খবর৭১: ভারতের উড়িষ্যার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯০০ মানুষ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এট্রিনের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে যাত্রীবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে বালেশ্বরের পাশে বাহানগা বাজারের কাছে অপর একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে ধাক্কা দেয়। এ ছাড়া আরেকটি মালবাহী ট্রেনও এ সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। অন্য যাত্রীবাহী ট্রেনটি হলো— সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি যশবন্তপুর থেকে হাওড়া যাচ্ছিল।
ভারতীয় রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা এনডিটিভিকে বলেন, করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহানগা বাজারে বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী একটি ট্রেনের লাইনচ্যুত বগিতে ধাক্কা দেয়। এতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি এবং অন্য দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়।
উড়িষ্যা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুধাংশু সারঙ্গি উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন। বালেশ্বর ও আশপাশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ বাহিনী এনডিআরএফের শতাধিক কর্মী আটকেপড়া যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে ৬০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে টুইট করেছেন। তিনি বলেন, ‘উড়িষ্যায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। শোকের এই সময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। উদ্ধার অভিযান চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।‘
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক অর্থমন্ত্রী প্রমিলা মালিককে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।