খবর৭১: ডলার সংকটের মধ্যে সদ্য সমাপ্ত মে মাসে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় কমেছে। এই মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কম। তার আগের মাস এপ্রিলেও রেমিট্যান্স কম এসেছিল, যা আগের বছরের একই সময়ে তুলনায় ১৬ দশমিক ২৬ শতাংশ কম। তবে মে মাসে যে আয় এসেছে, তা এপ্রিলের চেয়ে ৬৭ লাখ ডলার কম। এপ্রিলে এসেছিল ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, পুরো মে মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার। আর তার আগের মাস এপ্রিলে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল দেশে। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মে মাসে এসেছে ২৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, এপ্রিলে এসব ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছিল ২৪ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে মে মাসে এসেছে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, এপ্রিলে ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছিল ৪ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে মে মাসে আসে ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার, এপ্রিলে এসেছিল ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের গত মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা তার আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৪৬ কোটি ডলার বেশি। ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আর তার আগের মাস জানুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।
এদিকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়ানোর জন্য ডলারের দাম আরও এক দফা বাড়ানোর পরেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রতি ডলারে প্রবাসীরা পাবেন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা।
প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রতি ডলারে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। প্রণোদনাসহ প্রতি ডলারে তারা পাবেন ১১১ টাকা ২১ পয়সা। আগে প্রতি ডলারে পেতেন ১১০ টাকা ৭০ পয়সা।
অন্যদিকে প্রবাসীরা রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রতি ডলারে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। প্রণোদনাসহ প্রতি ডলারে তারা পাবেন ১১১ টাকা ২১ পয়সা। আগে প্রতি ডলারে পেতেন ১১০ টাকা ৭০ পয়সা। এরপরেও প্রবাসী আয় বাড়ছে না।