খবর৭১: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে ৩০০ আসনেই ব্যালটে নির্বাচন হবে। এটা আমাদেরও দাবি ছিল। তবে ব্যালটে নির্বাচন মানেই সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি পদক্ষেপমাত্র।
সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের প্রিয়াংকা কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, এতদিন যারা নির্বাচন করেছেন তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি হবে না, তা সরকারের ওপর নির্ভর করে। কারা নির্বাচিত হবেন, তাও সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করা হয়। এমন ধারণা সাধারণ মানুষের। সরকার নির্বাচনব্যবস্থা নিজের আয়ত্তে রেখেই নির্বাচন করছে। যে সরকার নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সেই সরকার যদি নির্বাচন করে, তাহলে তাকে কখনোই পরাজিত করা সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। সরকার ক্ষমতায় থেকেও যেন নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা দেখতে চাচ্ছিÑজনগণের প্রত্যাশা, দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন দেখে পার্টির শীর্ষপর্যায়ের নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে।
তিনি এ সময় ঢাকা-১৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসাবে প্রাথমিকভাবে শফিকুল ইসলাম সেন্টুর নাম ঘোষণা করেন। শফিকুল ইসলাম জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহŸায়ক এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
জিএম কাদের বলেন, আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। সংবাদ প্রকাশে ভুল হলে তার বিচার হবে। কিন্তু শেষ রাতে ১০ থেকে ১৫ জন মানুষ একজন সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাবে, দীর্ঘসময় সেই সাংবাদিকের খোঁজ পাওয়া যাবে না, তা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন থাকলে দেশে গণমাধ্যমের কোনো ভ‚মিকা থাকবে না।
তিনি বলেন, মানুষ দরিদ্র থেকে হতদরিদ্র হচ্ছে। কিন্ত মুষ্টিমেয় মানুষ ধনী থেকে অতি ধনী হচ্ছে। এটা অবিচার। এর শেষ কোথায়, আমরা জানি না। মানুষের আয় বাড়ছে না; কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে প্রতিদিন। বেশির ভাগ মানুষ যেন মাটির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে আর একটি গোষ্ঠী যেন আকাশে ভাসছে। এমন সমাজ আমরা চাই না। সরকারের হাতে টাকা নেই, ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগছে। কারণ, ব্যাংক থেকে লক্ষ-কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে।
শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সাল চিশতী ও মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এটিইউ তাজ রহমান, রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের এমপি, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন আমানত, হেনা খান পন্নী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান লিপ্টন, মনির আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান খান, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জসীম উদ্দিন ভ‚ঁইয়া, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. শামসুল হক, ফখরুল ইসলাম শাহজাদা, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাস, মো. নাসির উদ্দিন সরকার, মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।