খবর ৭১: কোন ঠুনকো অভিযোগ দিয়ে দিনকাল বন্ধ করে পার পাওয়া যাবে না মন্তব্য করে গণতন্ত্র ফিরে আনার লক্ষ্যে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দৈনিক দিনকাল খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ)এর আয়োজনে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতারা। “ফ্যাসিবাদ রুখে দাঁড়াও, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করো, বন্ধ সংবাদ মাধ্যম খুলে দাও”
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা বারবার কর্মসূচি দেওয়ার পরেও এই সরকার কানে পানি দিচ্ছে না। কোন ঠুনকো অভিযোগ দিয়ে দিনকাল বন্ধ করে পার পাওয়া যাবে না। গণতন্ত্র ফিরে আনার লক্ষ্যে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দৈনিক দিনকাল খুলে দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সাংবাদিকদেরকে নির্যাতন হয়রানি করে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকার নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য বিভিন্ন কালা কানুন আইন বাস্তবায়ন করছে। গণতন্ত্র স্বাধীনতা এবং আওয়ামী লীগ একসাথে চলতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত দৈনিক দিনকাল আমার দেশ খুলে দেওয়া না হবে সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ করা না হবে, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হবে ততদিন পর্যন্ত সরকার পতনের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, দৈনিক দিনকাল পত্রিকা বন্ধ হয়েছে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের ইঙ্গিতে। এই সরকার গণমাধ্যমের খুনি সরকার। গণমাধ্যমকে খুন করে গণমাধ্যমের হাজারো কর্মীকে রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে। এই সরকারের হাতে খুনের শিকার হয়েছে দৈনিক দিনকাল। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেই দৈনিক দিনকাল বন্ধ করা হয়েছে। সরকারের গণমাধ্যম ধ্বংসের পরিকল্পনার নীল নকশার অংশই দৈনিক দিনকাল বন্ধ।
দৈনিক দিনকাল পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, যখনই ফ্যাসিবাদী পতন সন্নিকটে আসে তখনই যখন তারা অপরাধ-দুর নীতিতে লিপ্ত হয়। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা এখন অপরাধ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। ৭২ সালে মুজিব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করেছে তারাই নির্যাতিত হয়েছেন সে কথা আমরা ভুলে যাই নাই। ঠিক ৭২ সালের মতো নির্যাতিত হচ্ছে এখনো দেশের মানুষ। এই দৈনিক দিনকাল পত্রিকা বন্ধই হবে হাসিনার পতনের মূল কারণ। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক চাপে হাসিনার মাথা নত হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র আর আওয়ামী লীগ একসাথে হয় না। এই গনবিরোধী সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই অবিলম্বে বন্ধ মিডিয়াসহ সকল মিডিয়া খুলে দেওয়া হোক যেসব সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে তাদের বিচার করুন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিন তা না হলে এই সাংবাদিকরা বাধ্য হয়ে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করবে।
কবি আব্দুল হাই সিকদার বলেন, অন্যায় অত্যাচার অবিচার থেকে দেশকে বাঁচানোর সময় এসেছে। আওয়ামী লীগ মানে হত্যাকারী, দেশকে ধ্বংস করা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারকে হত্যা করা, দেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা। এই দুঃসময়ের চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করেছে, দিগন্ত টিভি বন্ধ করেছে একুশে টিভি বন্ধ করেছে। এই গনবিরোধী শত্রুরা মাহমুদুর রহমানের মত নেতাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। ৪০ থেকে ৫০ জন সাংবাদিক হত্যা করেছে। এখন এই দেশদ্রোহী সন্ত্রাসী আত্মঘাতী সরকারকে উৎখাত করার সময় এসেছে। এখন সময় হয়েছে এই সরকারকে উৎখাত করার। শেখ মুজিবুর বাকশাল কায়েম করে মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল। এই গন বিরোধী শত্রু অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকারকে আর সময় দেওয়া ঠিক হবে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন ইবনে মইন চৌধুরী এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, এম এ আজিজ,আব্দুল হাই সিকদার, বাকের হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, রাশেদুল হক,আমিরুল ইসলাম কাগজী, শাহজাহান সাজু, দিদারুল আলমপ্রমুখ। পরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে দিনকাল বন্ধ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফোরাম নেতা রুহুল আমিন গাজী,শওকত মাহমুদ, এম আব্দুল্লাহ, নুরুল আমিন রুকন, এম এ আজিজ, কাদর গনি চৌধুরি, শহিদুল ইসলাম,বাকের হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইলিয়াস খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।