হাবিবুর রহমান নাসির ছাতকঃ
টানা এক সপ্তাহ’র বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতকের সবত্রই বন্যা দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উঁচু জমিতে ক্ষেত করা কয়েক শত একর বোরো ফসল।এখানে এখন বন্যার পানি থৈ থৈ করছে। সোমবার বিকেল পর্যন্ত ছাতকে সুরমা,পিয়াইন,চেলা নদী সহ সকল নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এখানে ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন । ইতিমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে এখানের বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,বীজতলা ও শত শত একর উঁচু জমির বোরো ফসল। পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। শহরের নিচু এলাকার বাসাবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকেছে।এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার। উজানে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারনে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে ব্যাপক হারে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ছাতক শহরের সকল ক্রাশার মিল বন্ধ। নদীতে কার্গো লোডিং আন লোডিং ও বন্ধ হয়ে পড়েছে । এতে শত শত শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে বেকার হয়ে পড়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিসহ আশপাশ এলাকার ৫৪০ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে সোমবার বিকাল পর্যন্ত সুরমা-মেঘনা স্টেশন ২৬৮, সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে ছাতক-সিলেট সড়কের কয়েকটি স্থান তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ছাতকের সাথে সিলেটসহ দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।ইতিমধ্যে উপজেলা সদরের সাথে ইসলামপুর,চরমহল্লা, ভাতগাও,সিংচাপইড় সহ ৭টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুনুর রহমান জানান, ছাতকে বন্যার হতে পারে এমন পূর্বাভাস জনসাধারণকে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।