খবর৭১ঃ শিশুদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, শিশুদের উজ্জ্বল ও সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার কথা মাথায় রেখে সরকার তার সব কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২১০০ সাল পর্যন্ত সেভাবেই বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করছি। উদযাপন করছি এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে। কারণ তার জন্মস্থানে আমরা এই অনুষ্ঠানটি করতে চাই।
জাতীয় শিশু দিবসকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আজকের শিশু দিবস সফল হোক। এই শিশুর জন্য আমরা সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই। তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়ে গেলাম। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা আর ধরে রেখে আগামী দিনে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো- এটাই হচ্ছে আমাদের আমাদের অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, আজকের শিশুরা হবে আগামী দিনের কর্ণধার। শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয়, সুন্দর হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের সকল কর্ম পরিকল্পনা।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’ থেকে আবৃত্তি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল /এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’।
বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে তিনি কেবল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাত। আমি আর আমার ছোট বোনে রেহানা বেঁচে গিয়েছিলাম। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে রিফিউজির মত দেশ-বিদেশে কাটাতে হয়েছে।
‘বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি ফিরে এসেছিলাম। এমন একটি অবস্থায় যেখানে ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী, আল-বদর, রাজাকারদের রাজত্ব ছিল। তবুও আমি ফিরে এসেছিলাম, আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এদেশের শিশু যেন আগামী দিনে আমাদের মত স্বজন হারার বেদনা নিয়ে বাঁচতে না হয়। তারা যেন সুন্দর জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, যে শিশুদের জাতির পিতা অত্যন্ত ভালোবাসতেন।’
শেখ হাসিনা তার সরকারের বিভিন্ন সময় শিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সময় স্কুল বন্ধ ছিল। এখন সব স্কুল খুলে গেছে। কাজেই এখন স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ আবার এসেছে। তারা পড়াশোনা করবে, সেটাই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। শিখনমূলক নানা ধরনের গ্রাফিক্স ও কার্টুন আমরা করেছি। যখন করোনা ছিল আমরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি। শিশুরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিচ্ছি। যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে।