খবর৭১ঃ পূর্ব সীমান্তে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সরকারি সেনাদের টানা দুই দিন গোলাগুলি চলছে। এর মধ্যেই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ইউক্রেন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধপ্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা এই ঘটনাকে চলমান সংকটের ‘নাটকীয় মোড়’ বলে মনে করছেন।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা দেনিশ পুশিলিন জানান, ইউক্রেনের সরকারি সেনারা তাদের যোদ্ধাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা অব্যাহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে তারা কয়েকটি হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছেন।
বিচ্ছিন্নতাবাদী এই নেতা যুদ্ধ করতে সক্ষম, এমন বয়সী পূর্ব ইউক্রেন অঞ্চলের সব নাগরিককে প্রস্তুত থাকার ডিক্রি জারি করেন। তিনি বলেন, আজ আমি যুদ্ধপ্রস্তুতির ডিক্রি জারি করেছি। এ অঞ্চলের রুশ নাগরিকদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
দোনেৎস্ক ও লুশাঙ্কস এলাকায় প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের বসবাস। ২০১৪ সালে রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের পর এ অঞ্চলে রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সাত লাখের বেশি বাসিন্দা রাশিয়ার নাগরিকত্ব নেন।
এদিকে লুশাঙ্কসের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা লিওনিদ পাশেচনিক যুদ্ধ করতে সক্ষম ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্থানীয় ব্যক্তিদের এলাকা ত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন। তাদের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধপ্রস্তুতি নিতে বলেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধের প্রয়োজনে যেকোনো সময় নাগরিকদের যানবাহন ও সম্পদ অধিগ্রহণ করতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শনিবার সকালে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ইউক্রেনের এক সেনা নিহত হয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটাই প্রথম হতাহতের ঘটনা। তবে এ বিষয়ে ইউক্রেন সরকার বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
চলমান উত্তেজনার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তা হতে পারে।
তবে এমন সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও বন্ধ নেই সংকট সমাধানের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখন জার্মানির মিউনিখ সফরে রয়েছেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসসহ পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে নিরাপত্তা সংলাপে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।