অতিদরিদ্রেদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির টাকা লোপাটের অভিযোগ

0
406

স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নে সরকারের অতিদরিদ্রেদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির (৪০ দিনের কর্মসূচি) টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এমনকি অতিদরিদ্র শ্রমিকদের তালিকায় চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল তার আপন ভাইয়ের নাম দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে সংশ্লিষ্ট কাজের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী সোহান আহম্মেদ হাজিরা খাতায় সই না করায় বুধবার চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডলের ভাই কংকন কুমার মন্ডল তাকে লাি ত করার অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট কাজের ট্যাগ অফিসার ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোহান আহম্মেদ বলেন, মিঠাখালী ইউনিয়নের বসিরখন্ড, খানজাহান আলী বাজার ও খড়খড়িয়া এলাকায় ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজের চরম অনিয়ম পেয়েছেন তিনি। বসির খন্ডে ৩৩ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও ছিলেন ২৩ জন। খানজাহান আলী বাজার এলাকায় ছিলেন ২৬ জন। অথচ থাকার কথা ২৭ জন এবং খড়খড়িয়া এলাকায় ৩৯ জনে ৩৩ জন শ্রমিকের উপস্থিত পান। একারণে তিনি উপস্থিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করায় বসির খন্ড এলাকায় কাজের শ্রমিকের তালিকায় নাম থাকা চেয়রম্যানের ভাই কংকন কুমার মন্ডল বুধবার তাকে মারধর করেন। এছাড়া ওই তিন এলাকায় ঠিকমত শ্রমিকরা কাজও করেননি এবং অধিকাংশ শ্রমিকের পরনে ছিল জিন্স প্যান্ট ও পায়ে ছিল জুতা পড়া। আর ৪০ দিনের কর্মসূচির মাটি রাস্তার পাশে না দিয়ে চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল তার বাড়ীর সীমান প্রাচীর মজবুত করতে সেখানে দিয়েছেন। এমন গুরুতর অভিযোগরও প্রমান সরেজমিনে পেয়েছেন বলেও জানান প্রকৌশলী সোহান আহম্মেদ। তবে, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার ট্যাগ অফিসার সোহান আহম্মেদকে লাি ত করার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ওই ঘটনায় চেয়রম্যানের ভাই কংকন মন্ডল বুধবার রাতে সোহান আহম্মেদের অফিস কক্ষে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। এসময় তার ভাই চেয়ারম্যান উৎপল মন্ডল সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজের শ্রমিক উপস্থিতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউএনও।
মোংলা উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাফর রানা জানান, আমি নতুন এসেছি, সকলকে চিনি না। তালিকায় চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নাম রয়েছে জানতে পেরে চেয়ারম্যানকে বলেছি কেন এমন করেছেন তিনি। আর ট্যাগ অফিসারকে তার ভাই লাঞ্ছিত করেছে এটাও সত্য। শুনেছি তার বাড়ীর সীমানা প্রাচীরের নিচেও কর্মসূচীর মাটি দিয়েছেন। এসব দৃষ্টিকটু দেখায় যা চেয়ারম্যান হিসেবে করা ঠিক না। তাই এসব শুনে বাকী কাজ যাতে ঠিকমত হয় সেজন্য ইউএনও স্যার ও আমি চেয়ারম্যানকে চাপে রেখেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here