খবর৭১ঃ করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনো শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা ওই সংক্ষিপ্ত কারিকুলামের মধ্যে রাখতে চান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
রোববার ২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আলোচনার কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা যে সিলেবাসে হয়েছে, আমাদের মতামত হল, ঠিক সেই সিলেবাসের উপর এই ভর্তি পরীক্ষাগুলো হওয়া যৌক্তিক এবং সেটিই সঠিক। কাজেই এর বাইরে আমরা মনে করি না যে, অন্য কেউ করবেন। যদি কেউ করতে চান, আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা আয়োজকরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতিতে করছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও একমত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুচ্ছ পদ্ধতির বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কিছুটা কথা হয়েছে। তারাও এই বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। এবং অন্যান্য যারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসেননি, চারটি-পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় তারাও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
২০২০ সালে দেশে মহামারীর প্রকোপে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা মিলিয়ে মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়। তার ভিত্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়, তবে পুরো সিলেবাসের ওপরই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের অপেক্ষায় ২০২১ সালের পরীক্ষা হয় আট মাস পিছিয়ে ডিসেম্বরে এসে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। সময় কমিয়ে আনা হয় দেড় ঘণ্টায়।
বাংলা ও ইংরেজির মত আবশ্যিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা এবার নেওয়া হয়নি। তার বদলে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে সেসব বিষয়ের মূল্যায়ন করে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।