খবর৭১ঃ দায়িত্বে থাকাকালীন সময় আইনের মধ্যে থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন বলে দাবি করেছেন বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। নিজের মেয়াদকালে সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় নিজেকে সফল বলেও দাবি করেন তিনি।
রবিবার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সাংবাদিকরা বিগত পাঁচ বছরে কমিশনের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে তার কাছে মূল্যায়ন জানতে চান।
নিজের মূল্যায়ন জানাতে গিয়ে সিইসি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং পরিপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য। কোনো রকমের কারও কথায় না, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করে একজন। বাকি ছয়জনের সবাই তো বলে না কিন্তু সমালোচনা তো হবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বাভাবিক, এদেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক। আগেও বলেছি এখনও বলছি হয়তো ভবিষ্যতেও বলব আশা করি।
সব নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, না সব সুষ্ঠু হয়েছে তা নয়। মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। আবার পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে তা বলা যাবে না, কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে।
নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শীতের দিনে রোদের মধ্যে নারী পুরুষ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে। এরচেয়ে সফল নির্বাচন আর কী হতে পারে।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেয় কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। এই কমিশনের সদস্যরা হলেন মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। নানা অভিযোগ সঙ্গে নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদায় নিচ্ছে এই কমিশন। গত পাঁচ বছরে সিইসি এবং তার নেতৃত্বাধীন কমিশনকে বিতর্ক আর পিছু ছাড়েনি। তবে সবগুলো নির্বাচন শেষ করতে পারায় নিজেকে সফল মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
নিজেকে সফল মনে করেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি মনে করি আমি সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিল সেটার সময় হয়েছিল, সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের কথাবার্তা, আর বলব না।