খবর৭১ঃ মানুষ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছেন। শীতের ঠান্ডার এই ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের অসুখের আশঙ্কা থাকে। এ জন্য স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একটি উপায় হিসেবে তুলসীর চা পান করা যেতে পারে। তুলসী শরীর সুস্থ রাখতে সহায়ক।
আয়ুর্বেদে বহু প্রাচীন সময় থেকেই তুলসীকে অত্যন্ত উপকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। এবার প্রতিদিন তুলসীর চা পানের উপকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
খালি পেটে তুলসীর উপকার
সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলসীর চা পানের অনেক লাভ। তা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। চাইলে সকালে খালি পেটে তুলসীপাতা চিবিয়েও খেতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে খালি পেটে দুধ চায়ের পরিবর্তে তুলসীর চা পান করলে শরীর বেশি মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পায়। তা শরীরকে ফ্রি রেডিক্যাল থেকে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। শরীরে ফোলাভাবও কমায়। শরীর সতেজ রাখে।
কীভাবে তুলসী চা বানানো যাবে
তুলসীর চা তৈরির সময় মনে রাখতে হবে যে, এতে চিনি দেওয়া চলবে না। চিনি দিলে উপকার কম হয়ে যায়। সবার আগে দেড় কাপ পানি নিয়ে তাতে ৮ থেকে ১০টি তুলসীপাতা ফেলে দিতে হবে। এরপর আদা ও এলাচের পাউডার দেওয়া যেতে পারে।
১৫ মিনিট ফুটিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। এপর মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে হবে।
তুসলীর চা পান করলে ঠান্ডার মরশুমে কফ, কাশি, সর্দি, অ্যাজমার মতো সমস্যা কম হয়।
তা শরীরে কর্টিসেন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে উত্তেজনা, বিরক্তি ও অবসাদের মতো সমস্যা দূরে রাখতে সহায়ক।
তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ পাওয়া যায়। তা দাঁতে আটকে থাকা জীবাণু দূর করে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
এছাড়া তুলসীপাতার চা শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেজন্য রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন তুলসীপাতার চা খেলে উপকার পাওয়া যায় বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসীর চা কোর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়ক হয়। এই হরমোন শরীরে স্টেরডেট হরমোন হিসেবে পরিচিত। তুলসীর চা পান করলে এই হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে চাপ থেকে মুক্ত থাকতে সহায়ক হয়।